জ্বলে পুড়ে ছাই হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস। কিন্তু তাতে খুব একটা হেলদোল নেই জাইর বলসোনারোর। বিশ্বের চরম সংকটের মুহূর্তেও গোঁসা করে বসে রয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। আমাজনের অগ্নিকাণ্ডে আন্তর্জাতিক মহল সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিলেও,প্রথমদিকে তা নিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তারপর চাপের মুখে পড়ে সাহায্য নিতে স্বীকার করলেও সেটা হবে শর্তসাপেক্ষ বলে জানিয়ে দেন। ব্রাজিলের তরফে জানান হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহলের ত্রাণ বা সাহায্য তারা গ্রহণ করবে, তবে সেক্ষেত্রে খরচের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে তাদের৷
ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলন চলাকালীন ফরাসী প্রেসিডেন্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চ্যান্সেলর সকলে মিলে আলোচনার পর আমাজনের আগুন নেভাতে ব্রাজিলকে অর্থ এবং প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরঁ উদ্যোগে পৃথিবীর ফুসফুসকে বাঁচাতে হাতে হাত মিলিয়ে আসরে নামেন প্রথম বিশ্বের দেশগুলি। ব্রাজিলকে ১০ মিলিয়ন পাউন্ড সাহায্য ঘোষণা করেন নয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সবমিলিয়ে আমাজনের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বমোট ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড বা ২২ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগৃহীত হয়, যা ব্রাজিলের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু উদ্যোগই সার হয়, প্রথমে ব্রাজিল সব সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, আমাজনের আগুনের পরিস্থিতি মোটেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়।বরং তাঁদের উদ্যোগ নিয়ে ফ্রান্সকেই কটাক্ষ করেছেন বলসোনারোর চিফ অফ স্টাফ ওনিক্স লোরেনজোনি। নোতর দাম গির্জার অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর শ্লেষ, ‘‘ম্যাকরঁ নিজেই নিজের দেশের গির্জা সামলাতে পারেন না। আর তিনি আমাদের শিক্ষা দেওয়ার কথা বলছেন? বরং ব্রাজিল সবাইকে শিখিয়ে দিতে পারে কীভাবে জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে হয়৷’’ এরকম মন্তব্যে গোটা পৃথিবী জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে ব্রাজিল অবস্থান থেকে সরে আসে।