এবার কী রাজনীতি
বর্জনের পথে হাঁটতে চলেছে প্রেসিডেন্সি ? অনন্ত গত ২৭ তারিখ কর্তৃপক্ষের দেওয়া এক নোটিশে এমনটাই মনে
হচ্ছে। আনন্দ পটবর্ধনের ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্র দেখাতে দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্সির
প্রেক্ষাগৃহে কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে
না। স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের এই নোটিশে রাজনীতি
বর্ধনের শুরবাত হলো কি না সেটাই এখন সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা
মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটি দেখাতে চেয়েছিলেন। তাঁরা গত মঙ্গলবার ছবি ও পরিচালকের নাম
দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভাবে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ডিন অব স্টুডেন্টস ফের
তাঁদের জানান, ছবিটি দেখানো যাবে
না। কর্তৃপক্ষ কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের পক্ষে বা বিপক্ষে ক্যাম্পাসের হল
বুক করে অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।
যাদবপুর
বিশ্ববিদ্যালয়েও ওই ছবির প্রদর্শন নিয়ে প্রথমে আপত্তি উঠেছিল। সেখানকার কর্তৃপক্ষ
অবশ্য তা গ্রাহ্য করেননি। যাদবপুরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়। যাদবপুরে তথ্যচিত্রটি
না-দেখানোর ব্যাপারে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর কাছে লিখিত ভাবে আপত্তি জানান
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী পরিষদের তিন সদস্য। রেজিস্ট্রার জানান, মৌখিক ভাবে আপত্তি জানান এবিভিপি-সমর্থক
কিছু পড়ুয়াও। তাঁদের বক্তব্য, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্রটি দেখাতে দেওয়া হয়নি।
এখানেও তার প্রদর্শন বন্ধ করা হোক। রেজিস্ট্রার জানান, ফিল্ম স্টাডিজ়ের পড়ুয়ারা বিভাগীয় প্রধানের
সম্মতি নিয়েই ক্যাম্পাসে ওই তথ্যচিত্র দেখানোর জন্য তাঁর কাছে আবেদন করেন। তা
মঞ্জুর করা হয়েছে। এখন অনুমতি বাতিল করা হবে না। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘বিভাগীয় প্রধানের
সঙ্গে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিয়ে কথা বলেছি। উনি জানান, এই তথ্যচিত্রটি ফিল্ম স্টাডিজ় বিভাগের
পাঠ্যক্রমেই রয়েছে। তাই এর প্রদর্শন বন্ধের কোনও প্রশ্নই আসে না।’’