প্রায় পাঁচ বছর পর
খাগড়াগড় কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এর আগে ২৩ অগাস্ট আলিমা ও গুলশানরা বিবি
সহ মোট ১৯ জনকে কাঠগোড়ায় তোলা হয়। বিচারক ১৯ অভিযুক্তকেই জিজ্ঞাসা করেন, তারা কারোর প্ররোচনায় দোষ স্বীকার করছেন
কি না? অভিযুক্তরা সবাই জানায়, তারা বিনা প্ররোচনায় নিজেদের দোষ স্বীকার
করছে। তারপরই এনআইএ বিশেষ আদালত ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদিন ছিল সাজা ঘোষণার
দিন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত মুলতুবি
করে দেন বিচারক। বিকেল চারটে নাগাদ সাজা ঘোষণা কথা জানান। পরিশেষে বিকেল পাঁচটা
নাগাদ খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। এদিন ইন ক্যামেরা
অর্থাত রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়।
কিন্তু সাজা ঘোষণার আঘে কী বলেছিল অভিযুক্তরা ?
আদালত সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা তাদের পরিবারের কথা উল্লেখ করে সর্বনিম্ন সাজা ঘোষণার আবেদন জানায়। প্রত্যেকেই সন্তান-সন্ততি, পরিবার আছে তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। তাই তারা সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে চায়। এই বক্তব্য শোনার পর চূড়ান্ত বিরোধীতা করেন সরাকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত মুলতুবি করে দেন বিচারক। বিকেল চারটে নাগাদ সাজা ঘোষণা কথা জানান। পরিশেষে বিকেল পাঁচটা নাগাদ খাগড়াগড় বিষ্ফোরণ কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক।
চার বাংলাদেশীর ১০ বছরের সাজা। ৬ বছর জেল হল আলিমা ও গুলশানরা বিবি ও অসমের এক ছাত্রের। বাকিদের আচ বছরের জেল ও জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।