কার্যত দিলীপ ঘোষদের এড়িয়ে শনিবারই দিল্লি উড়ে গেলেন
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দিল্লিতে দলের কার্যকরী
সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কৈলাস বিজয়বর্গীর
কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বলেও গুঞ্জন।
প্রসঙ্গত, এক পক্ষ হয়েছে বিজেপি যোগ দান করেছেন কলকাতা পুরসভার
প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে দিল্লিতে
গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু মাত্র ১৭ দিনের মাথায় ‘নিষ্কৃতি’ চেয়ে বসলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। অন্তত এমনটাই গুঞ্জন। যদিও ইন্ডিয়া হেরাল্ড এর
সত্যতা যাচাই করেনি। যা শোনা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের
দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করে শোভনরা ‘নিষ্কৃতি’ চেয়েছেন। প্রয়োজনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইস্তফা দিতেও প্রস্তুত
তিনি।
গত ১৪ অগাস্ট থেকে ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত যা ঘটনাপ্রবাহ হয়েছে তাতে নিজেদের অসম্মানই দেখছেন শোভন-বৈশাখী। রায়দীঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে শামিল করা বা না করা সংক্রান্ত চৰ্চা এখন তুঙ্গে। সেই চৰ্চা যে দিকে গড়িয়েছে, তাতে শোভন মোটেই সন্তুষ্ট নন। শুধুমাত্র বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে পড়েই দেবশ্রী রায়ের বিষয়ে আপত্তি তুলতে শোভন বাধ্য হয়েছেন, দেবশ্রীর বিষয়ে শোভনের নিজের কোনও আপত্তি ছিল না— এই রকম একটা তত্ত্ব রাজ্য বিজেপির একটি অংশ থেকেই খাড়া করার চেষ্টা চলছে বলে শোভন মনে করছেন।