‘আই অ্যাম ইন
পেন...’ সোমবার অর্জুন সিংকে দেখে বেরনোর সময়
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভাটপাড়া নিয়ে এ কথাই বলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
সফরসূচি কাঁটছাঁট করে কলকাতায় ফিরে আহত সাংসদকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে
ব্যারাকপুরের অবস্থা নিয়ে তিনি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
যদিও রাজ্যপালের মন্তব্যের পরই এডিজি আইন শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং ভাটপাড়া ঘটনার
জন্য অর্জুন সিং ও পবন সিংয়ের উপর দোষ চাপিয়েছেন। পুলিশ অনেক ধৈর্য ধরে কাজ করেছেন
বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজ্য
পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কুমারকে রাজববনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ডিজির সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বর্তমানে ব্যারাকপুর-ভাটপাড়ার অবস্থা সহ
রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার একটি পার্টি অফিস দখল এবং জগদ্দলে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটা। এই দুটি ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্যামনগর। এই ঘটনার প্রতিবাদের সোমবার ১২ ঘন্টার বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ, দফায় দফায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র এলাকা। তবে অশান্তি ঠেকাতে সকাল থেকেই পুলিশের টহলদারী চলতে থাকে। কাঁকিনাড়া ও ব্যারাকপুর অঞ্চলজুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ চলতে থাকলে পুলিশ লাঠিতার্জ করে। শ্যামনগরে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ চলে। জানা যায়, ব্যারাকপুর ব্রিজের কাছে জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে। এই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোননি। রাস্তাঘাট থমথমে। কল্যাণী এক্সপ্রেস অবরোধ হওয়ায় ট্রাক, লরি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সকালের দিকে শিয়ালদহ-রানাঘাচ লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অশান্তির অভিযোগে মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।