লোকসভা নির্বাচনে মোদী তথা বিজেপির বিপুল জয় যে অপ্রত্যাশিত আবেগ তৈরি হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের প্রতি তা আস্তে আস্তে ফিকে হতে চলেছে । গতকাল কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডির স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা মুরলী মনোহর যোশী নাম না করে মোদীর সমালোচনা করলেন ।
ভোটে জেতার পর মোদী শাহ দুজনই লালকৃষ্ণ আদবানী ও মুরলীমনোহর যোশীর আর্শীবাদ নিতে গিয়েছিলেন । তারপর থেকে মনে করা হচ্ছিল প্রবীণ তথা প্রতিষ্ঠিত বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মোদী-শাহ দূরত্ব ঘুচল । কিন্ত গতকাল যে বক্তব্য মুরলী মনোহর যোশী রেখেছেন তা থেকে মনে হচ্ছে বরফ গলেনি ।
তিনি এদিন বলেন ,দেশে এমন এক নেতার প্রয়োজন, যিনি নির্ভয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারবেন, যিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তর্ক করার সাহস রাখতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী কী ভাবল, রেগে গেলেন নাকি খুশি হলেন, এটা না ভেবে যিনি সরব হতে পারবেন, তেমন নেতারই প্রয়োজন এখন দেশে ।
মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডির স্মরণসভায় এমন মন্তব্য করেই আবারও শোরগোল ফেলে দিলেন যোশী।
প্রসঙ্গত,নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কয়েকবার সরব হয়েছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা মুরলী মনোহর যোশী। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী না করা নিয়েও সরব হয়েছিলেন যোশী। বাজপেয়ী জমানার এই অন্যতম হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে মার্গদর্শক মণ্ডলীর সদস্য করে দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, লালকৃষ্ণ আডবানি, মুরলী মনোহর যোশীদের মতো বিজেপির বর্ষীয়ান নেতাদের কার্যত ‘একঘরে’ করছেন মোদী-শাহরা।
উল্লেখ্য, জয়পাল রেড্ডির স্মরণসভায় যোশীর পাশাপাশি ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সীতারাম ইয়েচুরী, ডি রাজা, শরদ যাদব, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙভি ।