ইডির র হাতে কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা ডিকে শিবকুমার গ্রেফতার হওয়ার পর প্রতিবাদে কংগ্রেস বুধবার রাজ্যে বনধ ডাকে । আর আজ এই বনধকে ঘিরে কর্নাটক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় । জাতীয় সড়ক-সহ বিভিন্ন রাস্তায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা অবরোধ বিক্ষোভ দেখান। কর্নাটক রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (কেএসআরটিসি)-র একাধিক বাসে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরেোধীরা।
দুর্নীতির অভিযোগে চার দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর কর্নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকেই কর্নাটকের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার কর্নাটক বন্ধের ডাক দেয় কংগ্রেস। আজ সকাল থেকেই বন্ধের সমর্থনে পথে নামেন কংগ্রেস সমর্থকরা। রাস্তায় নিশানা করা হয় সরকারি বাস।
পুলিশের পক্ষ থেকে কেএসআরটিসি কর্তৃপক্ষকে পরিস্থিতি বুঝে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যেই বেশ কয়েকটি বাসে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কেএসআরটিসির জনসংযোগ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। সমস্ত ডিভিশনাল অফিসারদের বলা হয়েছে, পরিস্থিতি বুঝে বাস চালাতে। খোলা হয়েছে আলাদা কন্ট্রোল রুম।’’ রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনও খুব কম। প্রায় গোটা রাজ্যেই স্কুল কলেজ বন্ধ। কোথাও কোথাও স্কুল খুললেও পডু়য়ারা কার্যত আসেনি।
মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে টুইটারে তোপ দেগেছেন, ‘ওঁরা (বিজেপি) ওঁর (শিবকুমার) এবং দলের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে। আইন মেনে আয়কর দফতর হোক বা ইডি, যত বার ডেকেছে, উনি সাড়া দিয়েছেন। সহযোগিতা করছেন। উনি কি পালিয়ে ফেরার? তাহলে কেন এটা করা হচ্ছে? শুধুমাত্র হেনস্থা এবং মানসিক নির্যাতনের জন্য। এর নিন্দা করি।’’
আর এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপালও বিবৃতি জারি করে ঘটনার নিন্দা করেছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং ইডি-সিবিআই-কে কাঠপুতুলের মতো ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন। এছাড়া কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া, কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের মতো নেতারাও শিবকুমারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।