সম্প্রতি শতাব্দী রায়কে সারদা কাণ্ডে জেরা করার জন্য ইডি আধিকারিকরা ডেকেছিলেন।তারপরই তিনি টাকা ফেরতের ইচ্ছার কথা বলেন পাল্টা চিঠির মাধ্যমে। মঙ্গলবার প্রায় ৩১ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট তিনি পৌঁছে দিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে।এবিষয়ে তাঁর মন্তব্য “পারিশ্রমিক বাবদ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিলাম। গরিব মানুষরা যাতে টাকা ফেরত পান, সে কথাই বলেছি ইডিকে।”
২০১৫ সালে সারদা কাণ্ডে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫৬০ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ইডি কে। তখন তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। মিঠুন টাকা ফেরতের বিষয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের পর ইডি আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। পরে ওই অঙ্কের একটি ড্রাফ্ট তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ইডির কাছে পৌঁছে দেন।
ইডি সূত্রে খবর, সারদা গোষ্ঠীর একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী। তাঁর সঙ্গে কত টাকার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে চেয়ে তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, এ দিন কুরিয়ারের মাধ্যমে ওই ৩১ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট পৌঁছে দেওয়া হয় ইডি দফতরে।
সম্প্রতি শতাব্দী রায়কে সারদা-কাণ্ডে জেরা করতে চেয়ে ইডি আধিকারিকেরা তাঁকে তলব করেন। এর পরেই পাল্টা চিঠি দিয়ে টাকা ফেরতের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে শতাব্দী রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “পারিশ্রমিক বাবদ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিলাম। গরিব মানুষরা যাতে টাকা ফেরত পান, সে কথাই বলেছি ইডিকে।”