বিভিন্ন সরকার এই দেশকে তুলে দিয়েছে আদানী, আম্বানীদের হাতে। 
-: ১ :-
যে HAL তেজস, সুখোইয়ের মতো যুদ্ধবিমান তৈরী করেছে, এই প্রথমবার সে তার কর্মীদের মাইনে দিতে ১০০০ কোটি ধার করছে। অথচ সে তার সংস্থাকে বাঁচাতে রাফায়েল বানানোর বরাত পাচ্ছে না। ওটা বানাবে অনিল আম্বানীর কোম্পানী, যারা কিনা আজ পর্যন্ত একটা সব্জি কাটার ছুরিও বানায় নি!
-: ২ :-
যে BSNL-এর টাওয়ার ভাড়া করে সব টেলিফোন কোম্পানীগুলি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে, সেই BSNL কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজের ব্যবসা ডুবিয়ে দিয়েছে এবং হাল এতোটাই খারাপ যে এই প্রথমবার ৬ মাসের জন্য তাদের কর্মীদের মাইনে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। অথচ আম্বানীর জিও কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে চলেছে ।।
-: ৩ :-
এয়ার ইন্ডিয়া এই নিয়ে পরপর ২ মাস কর্মীদের মাইনে দিতে পারেনি, তাই আদানীকে ৫ টি এয়ারপোর্ট ৫০ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দিয়েছে সরকার!
-: ৪ :-
ব্যাঙ্করাপ্ট হয়ে গিয়েছে CSIR ও DST-র মতো গবেষনামুলক কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা। বিভিন্ন গবেষনামুলক ভাতা ও অনুদান আটকে যাচ্ছে। অথচ রিলায়েন্সের অদৃশ্য "জিও ইন্সটিটিউট" সরকারের থেকে ১০০০ কোটি টাকা অনুদান পাচ্ছে!
-: ৫ :-
FCI-এর ডাল পচে যাচ্ছে, অথচ আদানী দেশের চাষীদের কাছ থেকে ৩৫ টাকায় ডাল কিনে সেই ডাল আফ্রিকার ফেক কোম্পানীকে বিক্রী করে সেই ডালই আবার ভারতে ইমপোর্ট করে ৩৫ টাকায় কেনা ডাল ১৩৫ টাকায় বিক্রী করছে।
-: ৬ :-
অন্য সরকারী সংস্থার হাজার হাজার কোটি লসের শেয়ার ONGC কে কিনতে বাধ্য করে ONGC কে একদম পরিকল্পনামাফিক শেষ করে দেওয়া হচ্ছে এবং LPG-র দাম ইচ্ছে করে বাড়িয়ে দিয়ে আম্বানীর প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনকারী কোম্পানীর হাতে এই দেশের LPG-র বিপুল বাজার তুলে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে!
-: ৭ :-
ইন্ডিয়ান অয়েল সহ অন্য সমস্ত সরকারী জ্বালানী তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো হাজার হাজার কোটি টাকা লসে ধুঁকছে। অথচ রিলায়েন্সের সমস্ত বন্ধ পেট্রল পাম্পগুলিকে খুলে দিয়ে, পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেশি রেখে খুব ধীরে ধীরে (LPG, মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিসেবার মতোই) ভারতের সম্পূর্ন তেলের বাজার আম্বানীর হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে!
-: ৮ :-
আপনি কি জানেন যে সরকারের নিজস্ব ভোজ্য তেল তৈরীর ঘানি (ধারা) আছে? সরকারের নিজস্ব ভোজ্য তেল তৈরীর ঘানি থাকা সত্বেও আদানীর, ইমামীর ফরচুন ভোজ্য তেলে পুরো বাজার ছেয়ে আছে!
-: ৯ :-
আপনি কি জানেন যে স্টেট ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট ওয়ালেট আছে? অথচ সরকার স্টেট ব্যাংকের সেই ওয়ালেটকে কোনোদিনও প্রমোট করে নি। কিন্তু চিনা সংস্থা "আলিবাবা" যে পেমেন্ট ওয়ালেট পেটিএমের মুখ্য শেয়ার হোল্ডার, সেই পেটিএমের বিজ্ঞাপনে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থেকে তাকে প্রমোট করেছে। যার ফলস্বরূপ এখন ভারতে পেমেন্ট ওয়ালেট মানেই চীনা পেটিএম, অথচ ভারত সরকারর নিজস্ব স্টেট ব্যাংকের পেমেন্ট ওয়ালেটের কথা কেউ জানেই না!
তাহলে কি দাঁড়ালো?
শিক্ষা, খাদ্য, ভোজ্য তেল, জ্বালানী তেল, মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিসেবা - যা দেশ চালানোর মুল মেরুদন্ড এবং যেগুলো সরকারী নিয়ন্ত্রনে থাকা বাঞ্ছনীয়, সেগুলোর সবকটার নিয়ন্ত্রন ধীরে ধীরে অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক বেসরকারী হাতে তুলে দিয়েছে বা দেওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করেছে সরকার। আর আমরা 'ভারত-পাকিস্তান', 'হিন্দু-মুসলিম', 'মন্দির-মসজিদ' নিয়ে মেতে আছি!
বিক্রী হয়ে গিয়েছে দেশ! আপনি টেরও পান নি যে দেশের সাথে সাথে বিক্রী হয়ে গিয়েছেন আপনিও!
ভয়ংকর ভবিষ্যত অপেক্ষা করে রয়েছে, বড়ো বেশী রকমের ভয়ংকর ভবিষ্যত! মনে রাখবেন!


Find out more: