হাইকোর্টে আইনি লড়াই । বিজেপি তৃণমূল তরজা । বিচারপতি পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের এজলাস বয়কট । সবই হয়েছিল । বনগাঁ পুরসভার অনাস্থা ভোট ঘিরে । কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বিচারপতি নিজেও। এরপর গঙ্গা অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে । বিদ্রোহী তৃণমূল কাউন্সিলাররা বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছে তৃণমূলে । তারপর এল কলকাতা হাইকোর্টের বহু প্রতীক্ষিত রায় জেলা শাসকের দফতরেই নিতে আস্থা ভোট । বৃহস্পতিবার হল সেই আস্থা ভোট । ওয়াকওভার দিল বিজেপি ।বিনা বাধায় জয় হল বনগাঁর পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের। যে ১৪ জন কাউন্সিলর বৃহস্পতিবার অনান্থা ভোটে হাজির হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকে পুরপ্রধানের পক্ষেই ভোট দেন। ফলে ভোটের ফলাফল ১৪–০।
২২ আসনের বনগাঁ পুরসভায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে পুরসভায় দলীয় বিন্যাস দাঁড়ায় ১২–৮এ। অর্থাৎ, বিজেপির ১২ জন এবং তৃণমূলের ৮ জন। বাকি ২ জনের মধ্যে এক জন সিপিএম এবং এক জন কংগ্রেসের। এর কিছু দিন পরেই বিজেপি থেকে এক কাউন্সিলরকে দলে ফিরিয়ে নেয় তৃণমূল। ফলে বিজেপি কাউন্সিলরের সংখ্যা কমে হয় ১১ এবং তৃণমূলের এক জন বেড়ে ৯। অনাস্থা ভোটও হয় এর আগে। তখন ভোট হলে বিজেপি নির্দ্বিধায় জিতে যেতে পারত। কিন্তু ভোটের দিন ২ কাউন্সিলরকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ আনে বিজেপি। ফলে সে দিন ভোটাভুটি হয়নি। দু’দলই জিতে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল ।
এরপর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সব প্রক্রিয়া বাতিল করে জেলাশাসকের দফতরে নতুন করে অনাস্থার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর পর আরও ৪ জনকে দলে ফেরায় তৃণমূল। ফলে বিজেপির কাউন্সিলর ১১ থেকে কমে ৭ হয়ে যায় আর তৃণমূলের ৯ থেকে বেড়ে হয় ১৩।
এ দিন সকালে ভোটাভুটির সময়ে মোট ১৪ জন কাউন্সিলর হাজির হন জেলাশাসকের দফতরে। কোনও রকম গণ্ডগোল এড়ানোর জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয় জেলাশাসকের দফতর। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর অবশ্য ভোটাভুটিতে উপস্থিত হননি।