উদ্বিগ্ন ১৩৩ কোটি দেশবাসী। ঠিক সেই সময় খবরটা এলো। অবতরণের মাত্র কয়েক মিনিট আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রায় গোটা রাত জেগে সব কিছু দেখার পর সকাল আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে শেষমেশ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি।

শুক্রবার মধ্যরাত ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের অগ্নিপরীক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাত ১.৫১ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখত ভারত। কিন্তু ২.১ কিমি দূরেই আশাভঙ্গ। সম্ত যোগাযোগা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। বিঋানীদের মুখে বিষণ্ণতা দেখা গেলেও এক বারের জন্য বিমর্ষ হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বিজ্ঞানীদের উতসাহ দিতেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দেশবাসীকে ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরোর গোটা কর্মকাণ্ডের জন্য কুর্নিশ জানান তিনি। বিজ্ঞানীদের উজ্জীবিত করতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সফল আমরা হবই। আমাদের কেউ রুখতে পারবেন না।’’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মনোভাব স্পষ্ট, বিক্রমের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটাকে কখনই ব্যর্থ মনে করছেন না তিনি। ইসরোর কর্মতৎপরতার তারিফ করে তিনি বরং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, অরবিটার এখনও তথ্য দিচ্ছে। তাই চেনা আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তাঁর গলায়। জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণের শেষ লগ্নে তিনি বললেন, ‘‘চাঁদের পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হয়েছে। সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে।’’

 


Find out more: