সব কিছু ঠিক থাকলে
রাত ১টা ৫৩ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ভারতের চন্দ্রযান। উদ্বিগ্ন ১৩৩ কোটি দেশবাসী। ঠিক সেই সময় খবরটা এলো। অবতরণের মাত্র কয়েক মিনিট
আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রায় গোটা
রাত জেগে সব কিছু দেখার পর সকাল আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদী। তবে শেষমেশ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না ইসরোর চেয়ারম্যান কে
শিবন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি।
সকাল আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী বললেন দেখে নেওয়া যাক -
• আমাদের কেউ রুখতে
পারবে না, লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত আমরা দাঁড়াব না। আমরা আত্মবিশ্বাসী, সফল আমরা হবই।
• বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই। কাল নতুন ভোর হবে আর আরও উজ্জ্বল হবে। বিজ্ঞানীরা পাথর ভেঙে পথ তৈরির মানুষ।
• হয়তো চন্দ্রযানের অভিযান সফল হয়নি, কিন্তু দারুণ হয়েছে। এই পুরো মিশন ঘিরে সারা দেশ ভীষণ উত্তেজিত ছিল। আমি নিজেও সব সময় এর খবর রাখছিলাম।
• যা হয়েছে সেটা তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের ফল। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি আমি তাঁদের পরিবারকেও স্যালুট জানাচ্ছি।
• আমাদের চাঁদ নিয়ে নানা কল্পনা রয়েছে, চাঁদকে ছোঁয়ার ইচ্ছা আরও প্রবল হল এতে। আমরা সবাই একসঙ্গে আমাদের বিজ্ঞানীদের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছি।
• প্রতিটা ভারতবাসী আমাদের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত এবং তাঁরা আরও আত্মবিশ্বাসীও হলেন।
• চাঁদের পৌঁছনোর জন্য আমাদের ইচ্ছাশক্তি আরও প্রবল হয়েছে। সংকল্প আরও দৃঢ় হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাত ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের অগ্নিপরীক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাত ১.৫১ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখত ভারত। কিন্তু ২.১ কিমি দূরেই আশাভঙ্গ। সম্ত যোগাযোগা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। বিঋানীদের মুখে বিষণ্ণতা দেখা গেলেও এক বারের জন্য বিমর্ষ হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বিজ্ঞানীদের উতসাহ দিতেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দেশবাসীকে ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরোর গোটা কর্মকাণ্ডের জন্য কুর্নিশ জানান তিনি।