বিক্রম কী হারিয়ে
গিয়েছে, আর কী উত্তর দেবে ? সে প্রশ্নের উত্তর নেই ইসরোর রকাছে। তবে
টাকা জলে যায়নি। খরচ হওয়া ৯৭৮ কোটি টাকা অপচয় হয়নি। অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ইসরো
সূত্রে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায় চন্দ্রযানের মাত্র ৫ শতাংশ খোয়া
গিয়েছে। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হলেও অরবিটার এখনও ছবি পাঠাবে চাঁদের। কারণ
অরবিটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। যার ফলে সারা বছর ধরে ছবি পাঠাবে অরবিটার। হয়তো ল্যান্ডার
কোথায় আছে সে তথ্যও দিতে পারবে অরবিটার। তাহলেই প্রকৃতপক্ষে বিক্রমের কী হয়েছিল তা
জানা যাবে। চাঁদকে আবর্তন করতে থাকা এই অরবিটারে রয়েছে ‘টেরেন ম্যাপিং ক্যামেরা ২ (টিএমসি ২)।’ এক এক পাকে চাঁদের পিঠের ২০ কিলোমিটার
চওড়ার ফিতের মতো এলাকার ছবি তুলতে সক্ষম এই ক্যামেরা।
অন্যদিকে, অবতরণের মাত্র কয়েক মিনিট আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে প্রায় গোটা রাত জেগে সব কিছু দেখার পর সকাল আটটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে শেষমেশ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন তিনি। শুক্রবার মধ্যরাত ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের অগ্নিপরীক্ষা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে রাত ১.৫১ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখত ভারত। কিন্তু ২.১ কিমি দূরেই আশাভঙ্গ। সমস্ত যোগাযোগা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। বিঋানীদের মুখে বিষণ্ণতা দেখা গেলেও এক বারের জন্য বিমর্ষ হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বিজ্ঞানীদের উতসাহ দিতেই দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।