তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হিসাবে লোকসভায় প্রথম ভাষণেই যিনি সমগ্র ভারতবাসীর নজর কেড়ে নিয়েছিলেন সেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তিতে চরমে উঠেছে । সম্প্রতি মহুয়া মৈত্রকে নদীয়া জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দায়িত্ব নিয়েই তিনি যেভাবে দলীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতাদের চিঠি পাঠিয়েছেন তা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ জমা হয়েছে । দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক কল্লোল খাঁ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগও করেছেন ।
এরপর দলীয় সাংসদ যেভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে নিতে অনুরোধ করেছেন বলে দিলীপবাবু স্বয়ং দাবি করেছেন । তা নিয়েও দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে । এই পরিস্থিতিতে নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার জেলা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করতে গিয়ে নানা প্রশ্নে তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয় ।
সেই বৈঠকে সাংসদ তথা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রর থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বৈঠকে যোগ দেননি। এদিন রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের কাছে মহুয়ার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চান জেলা পরিষদের সদস্যরা। একই সঙ্গে তাঁরা রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন, দিলীপ ঘোষ তাকে ফোন করার কথা বলতেই কি মহুয়া মৈত্রকে দল আড়াল করছে?রাজীব অবশ্য দাবি করেন, মহুয়া শারীরিক কারণে জেলার বাইরে আছেন। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে আজও ওঁর কথা হয়েছে। কালও কথা হয়েছে।”
অবশ্য মহুয়া মৈত্র দিলীপ ঘোষের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন , দেবশ্রী রায় নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি । তবে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দেখা হলে দিলীপবাবুর সঙ্গে কথা বলতাম ।