পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। তবে ইসরোর
চন্দ্র অভিযান মুগ্ধ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের।
এত কম খরচে এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলে। তাই এবার একযোগে কাজ করতে চাওয়ার
ইচ্ছে প্রকাশ করল নাসা। নাসার তরফে ট্যুইটে বলা হয়েছে, মহাকাশ খুবই চ্যালেঞ্জিং
বিষয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোর এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাচ্ছি। আপনারা আমাদের
উতসাহ দিয়েছেন। আশাকরি ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব। উল্লেখ্য,
ভারতই প্রথম দেশ যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান নামানোর চেষ্টা করল।
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে চাঁদ থেকে মাত্ক ২.১ কিমি দূর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে। তারপর লাগাতার চেষ্টা কোথায় গেল বিক্রম। রবিবার দুপুরে ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভন জানালেন, খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের। অরবিটারের পাঠানো থার্মাল ছবিতেই খোঁজ মিলেছে বিক্রমের। থার্মাল ইমেজিং –এর মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা পরিমাপ করে আলাদা করে চিহ্নিত করা হয়েছে বিক্রমের অবস্থান। যদিও এখনও পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হলেই তবেই মিলবে জরুরি তথ্য। ল্যান্ডিংয়ের সময় কী হয়েছিল জানা যাবে সেই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরো কর্তা আগেই জানিয়েছিলেন, ইসরোর চন্দ্রযান ২ কখনই অসফল নয়। চন্দ্রযানের মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাকি ৯৫ শতাংশ এখনও ঠিক আছে। অরবিটার এখনও ছবি পাঠাবে। সারা বছর ধরে ছবি পাঠাবে। হয়তো অরবিটারের মাধ্যমেই বিক্রমের সন্ধান পাওয়া গেলেও যেতে পারে এবং ওই দিন কী ঘটেছিল তার হদিশও পাওয়া যেতে পারে।