দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে নিরপেক্ষ অর্থনীতিবিদরা যাই বলুক না কেন , দেশ এগিয়ে চলেছে । দেশে চূড়ান্ত বিকাশ পরিলক্ষিত হয়েছে । এটা মোদী সরকারের অভিমত । শনিবার মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার ১০০ দিন পূর্ণ হল ।  সরকারের ১০০দিন উপলক্ষে আজ রবিবার হরিয়ানার রোহতকে এক বিরাট জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন , এই ১০০ দিনে সংসদে যে কাজ হয়েছে তা বিগত ৬০ বছরে হয়নি । একই সঙ্গে ইসরোর চন্দ্র অভিযানকেও মোদী সরকারের ১০০ দিনের অন্যতম সেরা কাজ বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন । প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইসরোর চন্দ্রযান-২ অভিযান গোটা দেশকে জুড়ে দিয়েছে এক লহমায়।’’প্রথম ১০০ দিনে এমন কিছু সাহসী পদক্ষেপ করেছে তাঁর সরকার, যা আগামী দিনগুলিতে ফলপ্রসূ হবে। ঠিক কোন কোন পদক্ষেপগুলির কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী?

তাঁর দাবি, জম্মু কাশ্মীর সমস্যা হোক বা জল সঙ্কট, ১৩০ কোটি দেশবাসী এতদিনে সুষ্ঠু সমাধানের ইঙ্গিত পেয়েছে। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, তাঁর অন্যতম সহযোগী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও এদিন ১০০ দিনের যাত্রাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন,‘‘মোদীর সরকার জাতীয় সুরক্ষা, বিকাশ ও দরিদ্রের উন্নয়নের সমার্থক।’’  দ্বিতীয় দফার বিজেপি সরকারের প্রথম ১০০ দিনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘বিকাশ, বিশ্বাস এবং পরিবর্তনের’ যাত্রা বলে বর্ণনা করলেন।


অন্য একটি টুইটারে তিনি প্রশংসা করেছেন তিন তালাক বিল ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের। প্রথম ১০০ দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যাক বিল পাশের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে সংসদের চলতি বছরের ২৩ মে ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকার বেশ কিছু বিল সংসদে পাশ করিয়েছে সরকার। তার মধ্যে প্রধান কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার সিদ্ধান্ত। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দিয়ে তাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত শুধু দেশের মানুষই নয়, দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চেরও। প্রশাসন বহু সমলোচনার সম্মুখীন হয়েও অনড় থেকেছে নিজের সিদ্ধান্তে। জানিয়েছে কাশ্মীরে উন্নয়নের জন্যে্ এই সিদ্ধান্ত। বিরোধীরা ৩৭০ ধারা রদের জন্যে কাশ্মীরি নেতাদের আটক করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ করেছে। অন্য দিকে বার বার খবরের শিরোনাম হয়েছে, গণপিটুনির মতো ঘটনাও।


Find out more: