আজ জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকের শুরুতেই অস্বস্তির মুখে পড়ল ভারত। বৈঠকের শুরুতেই কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ভারতকে বিঁধলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাচেলে।

এই বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা করবে পাকিস্তান, সেই মাফিক প্রস্তুতিও নিয়েছে। কিন্তু স্বয়ং মানবাধিকার কমিশনার মিশেল নিজেই কাশ্মীর-প্রসঙ্গ তোলায় ইসলামাবাদ কিছুটা সুবিধে পেতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

মিশেল জানান  ‘‘আমরা কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার দু’দিকেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাচ্ছি। সম্প্রতি ভারত সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট যোগাযোগ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়েছে।’’তিনি আরও বলেন ‘‘ভারত ও পাকিস্তান সরকারকে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার রক্ষার আর্জি জানিয়েছি আমরা। এখন বিশেষত ভারতের কথাই বলতে চাই। আমার অনুরোধ, কাশ্মীরে কার্ফু তুলে নিক দিল্লি। মানুষকে ন্যূনতম পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক। যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলতে হবে।’’ তাঁর মতে ‘‘কাশ্মীর নিয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের সামিল করতে হবে।’’ আসামের এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন  ‘‘এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। ফলে প্রবল উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’’

সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মানবাধিকার পরিষদে দু’টি পদক্ষেপ করতে পারে পাকিস্তান। হয় তারা পরিষদের প্রেসিডেন্টের কাছে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা চাইবে। সে ক্ষেত্রে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন ওই আলোচনা হবে কি না। তা না হলে কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ করাতে চাইবে তারা। সে ক্ষেত্রেও ভোটাভুটি হবে। নয়াদিল্লি ভোটাভুটিতেই বাজিমাত করতে চাইছে।

 

 

 


Find out more: