অভিযোগ করেছিলেন তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে । এই অভিযোগ করেছিল সোস্যাল মিডিয়ায় । অভিযোগের লক্ষ্যে ছিলেন বাজপেয়ী মন্ত্রীসভার সদস্য ও উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে । তারপর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ওই ছাত্রী । ওই ছাত্রী আবার চিন্ময়ানন্দের প্রতিষ্ঠিত আইন কলেজের ছাত্রী ।
এরপরেই নির্যাতিতার সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে এক মহিলা আইনজীবী । সেই মামলার শুনানীতে অভিযোগকারিনীকে দুদিনের মধ্যে কোর্টে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত । উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ওই ছাত্রীকে আদালতে হাজির করালে তার সঙ্গে প্রধান বিচারপতি কথা বলেন । তারপরেই শীর্ষ আদালতের নজরদারীতে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ।
এদিকে, সিটের তদন্তকারীদের কাছে ওই ছাত্রী বলেছেন , তাঁকে প্রায় এক বছর ধরে ধর্ষণ করেছে চিন্ময়ানন্দ ।  ছাত্রীর দাবি, পুলিস আধিকারিকদের ধর্ষণের ঘটনা জানানোর পরেও চিন্ময়ানন্দকে তাঁরা গ্রেফতার করেনি। নির্যাতিতা ছাত্রীর দাবি তিনি প্রাণ ভয়ে রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর তাঁকে মেরে ফেলার সবরকম চেষ্টা চলত বলে দাবি। উল্লেখ্য, এর আগে ওই ছাত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় নাম না করে অভিযোগ করলেও ধর্ষণের অভিযোগ করেনি । সিটের সামনেই তিনি এই অভিযোগ করলেন ।
তবে ছাত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ। তাঁর পাল্টা দাবি ওই আইনের ছাত্রী তাঁর ভাবমূর্তিতে আঘাত হানার জন্যই এই কাজ করছে। তাঁর দাবি ছাত্রীর কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই।
কিন্তু ছাত্রী দাবি করেছেন এই ঘটনার সব প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। নির্যাতিতা দাবি করেছেন, যে হোস্টেলে তিনি থাকতেন সেটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে সেই সিল খুলে সেখানে প্রমাণ দেখাতে তিনি প্রস্তুত। এমনকী তাঁর কাছে ভিডিও রয়েছে বলে দাবি করেছে নির্যাতিতা। উপযুক্ত সময়ে সেটি তিনি পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন।
উন্নাও কান্ডের পর চিন্ময়ানন্দের ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসায় বিজেপি দলের স্বচ্ছ ভারত গড়ার লক্ষ্য যে ধাক্কা খেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।


Find out more: