১৯৯০
সাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী। হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ
কর্মসূচীতে আক্রান্ত হন তিনি। ঘটনায় ১২ জনের নামে চার্জশিট পেশ করা হয়। কিন্তু ১২
জনের মধ্যে বর্তমানে ১১ জন কেউ মারা গিয়েছেন অথবা পলাতক। একমাত্র ‘ট্রায়াল ফেস’ করছিলেন লালু আলম। ৩০ বছর পর
সাক্ষীর অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাস করল আলিপুর আদালত। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সাক্ষী দেওয়ার কথা আদালতকে জানিয়েছিলেন। তবে পুরোটাই ভিডিও রেকডিং যেন হয় সেই
আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে সেই পরিকাঠামো না থাকায় সাক্ষ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এরপর সরকারের পক্ষ থেকে একটি দরখাস্ত করে আদালতে এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সব দিক বিচার করে লালু আলমকে বেকসুর খালাস করে এই মামলার নিষ্পত্তি করে।
বেকসুর খালাসের পর লালু আলম জানান, শান্তি পেলাম। তবে কয়েক বছর আগে এই রায় পেলে আরও খুশি হতাম।
অন্যদিকে, বুধবার প্রাকতন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পর বৃহস্পতিবার সিবিআই দফতরে পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন তিনি। তবে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আসবেন কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। এর আগে কাকলি এবং শুভেন্দু দু’জনকেই ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় সে-বার আসতে পারছেন না বলে চিঠি দিয়েছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুভেন্দু অধিকারীও প্রতিনিধি পাঠিয়ে ওই দিন আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছিলেন।