বাংলায় এনআরসি করতে দেব না । কোনো মতেই ধর্ম নিয়ে খেলা করতে দেব না । আমি যতদিন বাঁচব তত দিন এরআরসি করতে দেব না , আমি মরে গেলে দল করতে দেবে না । বৃহস্পতিবার এই ভাষাতেই এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তিনি বলেন , ‘‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। আরেকটা ভারত ভাগ করতে দেব না। ক্ষমতা থাকলে করে দেখান বাংলায়’’, বৃহস্পতিবার এনআরসি বিরোধিতায় সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করার পর এ ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোকে। মমতা আরও বলেন, ‘‘আরেকটা বঙ্গভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাকে যাঁরা হিংসা করেন, তাঁরা জেনে রাখুন, বাংলা মাথা নত করবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আমরা সবাই রয়েছি দেশকে রক্ষা করার জন্য। আরেকবার ভারত ভাগ করতে দেব না’’। এরপরই নাম না করে দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘বাংলায় নাকি ২ কোটি লোক বাদ দেবে! কেন আমরা কি ওদের দয়ায় আছি! আগে ২ জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখো। এজেন্সি? এজেন্সি কোথায় থাকে আর মানুষ কোথায় থাকে দেখে নেবো’’।
Advertisement
উল্লেখ্য, বাংলায় এনআরসি ইস্যুতে রাজনীতি করছে  বিজেপি। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলায় এনআরসি করে ২ কোটি নাম বাদ দেওয়া হবে। মমতা বলেন, ‘‘আমি যতদিন বেঁচে আছি এনআরসি করতে দেব না, আমি মরে গেলেও দল করতে দেবে না। ৪টি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি’’।
মমতা এদিন বলেন, ‘‘পুলিশ দিয়ে অসমবাসীর মুখ বন্ধ করতে পারে, কিন্তু বাংলার নয়। ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে এনআরসি মানছি না মানব না। বিজেপিকে ধিক্কার জানাই, লজ্জা করে না!’’। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘এটা অস্তিত্বের লড়াই। আসামে ১৯ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে এর মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু। বৌদ্ধ, শিখ, গোর্খারাও আছে। অনেকে নথি দিয়েছেন, অথচ এনআরসিতে নাম ওঠেনি’’।
এদিনও দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপির খোঁচা প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, ‘‘বাংলায় দুর্গাপুজো, কালীপুজো হয় না? নতুন করে শেখাচ্ছো?’’ মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘ প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে আমি সম্মান করি। আমি সংবিধান মেনে চলা মানুষ। কিন্তু আমাদের অসম্মান করলে গায়ে লাগবে। আমি তো সকালে ২০ বার ওম বলি’’।
দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে এদিন মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, রেল, সেল, বিএসএনএল সব বিক্রি করছে। এখান থেকে ব্যাঙ্কের হেড কোয়ার্টার তুলে নিয়ে যাচ্ছে। গাড়ি কিনছেন না কেউ এখন। ভারতবর্ষে হাহাকার চলছে। দেশে অর্থনৈতিক ধস নেমেছে, তা ধামাচাপা দিতে অন্য ইস্যু নিয়ে চর্চা করছেন।


Find out more: