
বাংলাতে বিজেপি নেতাদের মধ্যে অনৈক্য ছিলই, এবং তা নিয়ে ওপর মহলে উদ্বেগও ছিল খুব স্বাভাবিকভাবেই। এবার খোদ অমিত শাহ সেই উদ্বেগের কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানালেন। রীতিমত হুঁশিয়ারির সুরে অমিত শাহ বলেন যে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে কোনও অনৈক্য বরদাস্ত করা হবে না, যাবতীয় ঘরোয়া কোন্দল দূরে সরিয়ে রেখে সর্বশক্তিতে ঝাঁপাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে থাকা রাহুল সিংহ— বঙ্গ বিজেপির এই চার নেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। জে পি নাড্ডা দলের কার্যকরী সভাপতি হওয়ার পর থেকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এ ভাবে আলাদা করে বৈঠকে অমিত শাহ আর এক বারও বসেননি।
সূত্রের খবরানুযায়ী তৃণমূলকে আক্রমণ করার কথা ভুলে বিজেপির রাজ্য নেতারা যে ভাবে অভ্যন্তরীণ গোলমালে জড়িয়েছেন, তাতে অমিত শাহ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। বুধবারের বৈঠকে সে অসন্তোষ তিনি আর গোপন রাখেননি। পুরনো-নতুন দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে নিয়ে চলার পরামর্শ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে আগেই দিয়েছিল দিল্লি। তৃণমূল বা অন্যান্য দল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের উপযুক্ত স্থান দিতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে— এই বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য বিজেপি সেই পথে হাঁটতে পারেনি বলে সর্বভারতীয় নেতৃত্বের মনে হয়েছে। এই পরিস্থিতি আর বরদাস্ত করা হবে না, প্রয়োজন হলে সাংগঠনিক রদবদলের রাস্তায় হাঁটতেও প্রস্তুত দল।