পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখন মনে করছেন যে তালিবানের মোকাবিলায় আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাবাহিনীর পাশে থাকার প্রশ্নে তাঁদের নিরপেক্ষ অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল।আজ তিনি আক্ষেপ করেছেন যে যে সব জঙ্গি এক সময়ে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, এখন তারাই তাঁর দেশের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।
বিষয়টিকে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে তিনি বলেছেন ‘‘আশির দশকে আফগানিস্তানে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে লড়াই চালাতে তালিবানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তান। সে জন্য অর্থ জুগিয়েছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ওই সময়ে আমরা এই সব জঙ্গিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়তে। কারণ, রুশ প্রশাসন আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল। তাই জঙ্গিদের তৈরি করতে সিআইএ-র পুঁজি নিয়ে নেমেছিল পাকিস্তান।’’
তিনি আরও বলেছেন ‘‘সিআইএ-র মদতে যারা সোভিয়েতের বিরুদ্ধে সে দিন লড়েছিল, প্রশিক্ষণ দিলেও তাদেরই এখন সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে আমেরিকা। এক দশক পরে তালিবান এখন বলতেই পারে, মার্কিনরা আফগানিস্তানে এসেছে, এ বার ওদের কাছে আমাদের লড়াইটা আর জেহাদ নয়, সন্ত্রাস।’’ ইমরানের কথায়, ‘‘এটা একেবারেই স্ববিরোধী বিষয়। আমার ভীষণই মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের উচিত ছিল নিরপেক্ষ থাকা। কারণ, ওই গোষ্ঠীগুলো এখন আমাদের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে।’’
তিনি মনে করেন নিরপেক্ষ না থাকার জন্য পাকিস্তানকে ভুগতে হচ্ছে। পাকিস্তানের ৭০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন এবং অর্থনীতি ধুঁকছে। তিনি বলেন ‘‘শেষমেশ আফগানিস্তানে সাফল্য না পাওয়ার দায়ও আমাদের উপরেই চাপিয়েছে আমেরিকা। এটা পাকিস্তানের জন্য একেবারেই অন্যায্য।’’