নিউটাউনে উইপ্রোকে ৯৯ বছরের জন্য ৫০ একর জমির স্বত্ব দিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার। এর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে ৪৯ শতাংশ এবং বাকি অংশ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলার সরকারও এসইজেডের পক্ষপাতী নয়। কিন্তু এই স্বত্বদানের ফলে উইপ্রো অনেক সুবিধা পাবে।প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার একই স্বত্ত্বে ইনফোসিসকে জমি দিয়েছে। এবার উইপ্রোকেও একই সুবিধা দেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা বাংলায় বিনিয়োগে আরও উৎসাহী হবেন।
অর্থ দপ্তরের আধিকারিকদের মতে এই জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হলে, উইপ্রো আর কোনও সরকারি দপ্তরে ঘোরাঘুরি না করে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ সেখানে করতে পারবে।
অন্যদিকে নিউ টাউনে ফিনটেক হাবে হিডকো তৈরী করছে ভার্টিকাল সিটি। এই বহুতল টাওয়ারে ফিনটেক স্টার্ট আপদের জন্য জায়গা দেওয়া হবে। এর ফলে, এখানে এমন এক ‘ইকোসিস্টেম’ তৈরী হবে যা বাণিজ্যের পক্ষে লাভবান হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাংলা দেশে এক নম্বর স্থানে পৌঁছক। সেই লক্ষ্যে, তিনি গত বছর ফিনটেক হাবের উদ্বোধন করেন। এখন পর্যন্ত ব্যাঙ্কিং ও নন ব্যাঙ্কিং মিলিয়ে ২৫ টি অর্থনৈতিক সংস্থা এই হাবে জায়গা নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য – স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ লিডারশিপ, ন্যাশানাল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন, ন্যাশানাল গ্রীন ট্রাইব্যুনাল অ্যান্ড ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপ্লিট ট্রাইব্যুনাল।উল্লেখ্য, ম্যাকিন্সে গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে কলকাতা বিশ্ব বাণিজ্যিক কার্যকলাপের সেরা তিনটি মেট্রো শহরের একটি হতে চলেছে। তাই রাজ্য সরকারও এই লক্ষ্যে কোনও ত্রুটি রাখতে চায় না।