আগাম সিদ্ধান্ত মত আজ জন্মদিনেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটেই থাকলেন । সকালে তিনি গুজরাট চলে যান । সেখানে গিয়ে কেবাড়িয়াতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি ঘিরে পর্যটন সম্ভাবনা থেকে শুরু করে সেচ, পানীয় জল, বিদ্যুতের মতো প্রকল্পগুলি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই কর্মসূচির বাইরেও সময় কাটালেন মায়ের সঙ্গে। একসঙ্গে বসে সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। পেলেন মায়ের আশীর্বাদ।
আমদাবাদ থেকে নর্মদা জেলায় যাওয়ার পথে বিমান থেকে সর্দার প্যাটেলের মূর্তির একটি ভিডিয়ো তোলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ভিডিয়ো শেয়ার করে মোদী লিখেছেন, ‘বিশাল এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি দেখুন। মহান সর্দার পটেলকে ভারতের শ্রদ্ধা।’ পরে পরিদর্শনের আরও একাধিক ভিডিয়ো-ও শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপর এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে গুজরাটের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘২০০১ সালে যখন শুরু হয়েছিল, তখন কিছুই ছিল না। আমাদের দায়িত্ব ছিল পানীয় জল, সেচ, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ হলেও আপনারা সাহস হারাননি। এখন গুজরাতে সেচের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। ২০০১ সালে ১৪ হাজার হেক্টর ছিল সেচের আওতায়। ৮ হাজার পরিবার এর সুবিধা পেত। এখন সেখানে ১৯ লক্ষ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। ১২ লাখ পরিবার এর সুবিধা পাচ্ছে।’’
বিশ্বের বৃহত্তম সর্দার পটেল মূর্তি উন্মোচনের পর থেকেই এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা ব্যাপক হারে বেড়েছে, দাবি করেন মোদী। বলেন, ‘‘মাত্র ১১ মাসে ২৩ লাখ পর্যটক স্ট্যাচু অব ইউনিট দেখতে এসেছেন। এখানে গড়ে সাড়ে আট হাজার পর্যটক এখানে আসেন প্রতিদিন।’’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ১৩৫ বছরের আমেরিকার স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখতে যেথানে প্রতিদিন ১০ হাজার পর্যটক আসে, সেখানে মাত্র ১১ মাসে স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে এত সংখ্যক পর্যটকের আগমন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। স্থানীয় যুবকদের রোজগারের সুযোগ মিলছে।
কিন্তু এই প্রকল্প রক্ষার দায়িত্বও সবার। এই প্রকল্প যাতে প্লাস্টিক মুক্ত থাকে, তার দায়িত্ব এলাকাবাসীর, বলেন মোদী। একই সঙ্গে তাঁর আহ্বান, ‘‘গোটা দেশেই আমাদের জল, জঙ্গল ও জমি প্লাস্টিক থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এর জন্য প্রতিটি নাগরিকের শপথ নেওয়া উচিত।’’ অনুষ্ঠানের পর আমদাবাদে ফিরে মা হীরা বেনের সঙ্গে দেখা করে আশির্বাদ নেন প্রধানমন্ত্রী।