গত সপ্তাহে সৌদি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল আমেরিকা, কিন্তু সেই অভিযোগকে তারা কার্যত ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে আজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি মার্কিন চ্যানেল দাবি করেছে, ওই হামলা চালানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই।
মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো প্রথম থেকেই বলে আসছেন যে শনিবারের ওই হামলা যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু নয়। আজ সৌদি শহর জেড্ডায় যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে পম্পেয়ো বলেন, ‘‘আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে সৌদির।’’ এই আবহে ওই মার্কিন চ্যানেলটি জানিয়েছে, খামেনেই নাকি হামলায় সম্মতি দিয়েছিলেন এই শর্তে যে, তেল শোধনাগারে ড্রোন-হানার পরে যেন কোনও অবস্থাতেই বোঝা না যায়, তাতে ইরানের কোনও ভূমিকা রয়েছে। এই তথ্য কোথা থেকে মিলল বা ওই মার্কিন অফিসারটি কে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি চ্যানেলটি।
ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়রিফও পম্পেয়োর মন্তব্যের জবাবে বলেন যে আমেরিকা এবং তার উপসাগরীয় মিত্র দেশ ইরানে হামলার কথা ভাবলে তাঁরাও চুপ থাকবেন না। জাভেদের কথায়, ‘‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আত্মরক্ষার স্বার্থে আমরাও এক মুহূর্ত ভাবব না।’’