প্রায় তিন ঘন্টা সওয়াল-জবাব, তারপর আরও পাঁচ
ঘন্টার অপেক্ষা। অবশেষে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের আগাম জামিনের
আবেদন খারিজ করে দিল আলিপুর জেলা আদালত। এর ফলে এডিজি সিআইডি যে আরও বিপাকে পড়লেন
এ বিষয়ে কোনও সংশয়ই রইল না।
কলকাতা হাইকোর্ট রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ না বাড়ানোয়, জামিনের আর্জি নিয়ে বারাসত এমপি-এমএলএ বিশেষ আদালতে গিয়েছিলেন। সেখানে জানানো হয় এই মামলার শোনার এক্তিয়ার নেই। তারপর রাজীবের আইনজীবীরা যান বারাসত জেলা আদালতে। সেখানে জানানো হয়, সারদা মামলা যেখানে চলছে, সেখানেই আবেদন জানাতে হবে। এরপরে আলিপুর জেলা আদালতে আর্জি জানান রাজীবের আইনজীবীরা। সেখানেই এদিন খারিজ হয়ে গেল রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত। তারপরই সেদিনই বিকেলে বর্তমানে যেখানে রাজীব কুমার রয়েছেন, ৩৪ পার্ক স্ট্রিটের সেই বাসভবনে যান সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে রাজীব কুমার না থাকায়, তাঁর স্ত্রী’র হাতেই শমন দিয়ে আসেন আধিকারিকরা। এমনটাই সূত্রের খবর। তারপর দিন অর্থাত শনিবার সকাল ১০টায় রাজীব কুমারকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু যাননি তিনি। সূত্রের খবর, বিকেলে মেল করে সিবিআই-কে তিনি স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানান এবং ২৫ তারিখ পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু প্রাক্তন কলকাতা পুলিস কমিশনারকে কোনওরকম কোনও সুযোগ ও সময় দিতে নারাজ সিবিআই। সেদিনই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর রবিবার নবান্নে রাজ্য পুলিশের ডিজি, স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য সচিবকে চিঠি দিতে যায় সিবিআই। কিন্তু ছুটির দিন থাকায় শুধু রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া সম্ভব হয় সিবিআই আধিকারিকদের। সোমবার ফের নবান্নে গিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্য সচিবকে চিঠি দেয় সিবিআই। তারপর বিভিন্ন জায়গায় চলছে রাজীব কুমারের খোঁজ।