এখনও বেতন হয়নি বহু বেসরকারী সংস্থার। খবর নেই বোনাসেরও। মাস শেষ হতে আরও কয়েকদিন। এদিকে পুজোর আর বাকি মাত্র ১০ দিন। তার সঙ্গে দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে বাজারের অবস্থা বেহাল।সব মিলিয়ে বর্ধমানে পুজোর বাজার পুজোর আগে জমে উঠল না। আর তাকে ঘিরেই ক্রমশই বাড়ছে ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা। বাজারে নেই সেই ভিড় – বলছেন খোদ বিক্রেতারাই। বর্ধমান শহরের অধিকাংশ বিক্রেতারাই জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর এই সময় যে বিক্রি হয় এখনও গড়ে ৫০ শতাংশের বেশি সেই বিক্রি হয়নি। 
উল্লেখ্য, চলতি অর্থনৈতিক মন্দার জেরে বহু প্রতিষ্ঠানেই বোনাসের খবর মেলেনি - যার ওপর ভিত্তি করেই পুজোর কেনাকাটায় আসে জোয়ার। বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি শপিং মলের স্টোর ম্যানেজাররা সাফ জানিয়েছেন, পুজোর বিক্রি বলতে যা বোঝায় এখনও তার দেখা মেলেনি। হাতে আরও কয়েকদিন রয়েছে ঠিকই, এমনকি তাঁরা সেইদিকেই তাকিয়ে থাকলেও আদপেই কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। 
বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি বড় শাড়ি, পোশাকের দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, এবারে পুজোর বাজার নিয়ে তাঁদের কার্যত রাতের ঘুম উবে যেতে শুরু করেছে। কারণ পুজোর বাজারের জন্য তাঁদের পর্যাপ্ত স্টক রাখতে হয়েছে। এমনকি অতিরিক্ত কর্মীও নিয়োগ করতে হয়েছে। কিন্তু এখনও সে অর্থে বাজার মেলেনি। এই্ ব্যবসাদাররা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত যে বিক্রির ট্রেণ্ড দেখা যাচ্ছে তাতে - একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ এবং একেবারে উচ্চবিত্তদের কেনাকাটাই চলছে। মধ্যবিত্তদের দেখা মিলছে না। এর কারণ হিসাবে তাঁরাও উল্লেখ করেছেন সঠিক বেতন ও বোনাস না হওয়াকেই। এরই পাশাপাশি শহরের বাইরেও এখনও ঝাঁ চকচকে দোকান হয়ে যাওয়ায় পুজোর কেনাকাটা করতে আসা মানুষের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। তারসঙ্গে রয়েছে বর্ধমান শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণের কোপ। সব মিলিয়ে পুজোর বাজার এখনও অধরা বর্ধমান শহরের বড় বড় ব্যবসায়ীদের কাছে।


Find out more: