গতকাল ‘ হাউডি মোদী‘ সভায় দাঁড়িয়ে ভারত প্রীতির যে নিদর্শন দেখালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারও করে ফেললেন । কিন্ত ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার আগে সুর বদল ট্রাম্পের । আজ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প। এই নিয়ে তৃতীয় বার। এবং আরও এক বার অস্বস্তিতে ফেললেন নয়াদিল্লিকে।
ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেন রদ করার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জে এসে গোড়া থেকেই নানা মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু গত কাল ট্রাম্পের উপস্থিতিতে মোদী যে ভাবে কাশ্মীর নিয়ে সুর চড়িয়েছেন, সন্ত্রাস প্রশ্নে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছেন, তাতে ইমরান আর বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না বলেই দাবি করছিলেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা
কিন্তু আজ ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি পাকিস্তানের উপরে ভরসা করি। আমি চাই কাশ্মীরে সকলে ভাল থাকুন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রধানমন্ত্রী খানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভাল। ওঁরা দু’জনেই যদি বলেন যে আমাদের একটা সমস্যা দূর করার আছে, তা হলে আমি সেটা করতে পারি।’’ একই সঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, ‘‘আমি খুবই ভাল মধ্যস্থতাকারী।’’
এর আগে ইমরানের পাশে বসে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, কাশ্মীর নিয়ে মোদীই তাঁকে মধ্যস্থ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ভারত তার প্রতিবাদ করে জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। গোড়ায় নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেও পরে মধ্যস্থ হতে চান না বলে মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।
হিউস্টনের মঞ্চে সন্ত্রাস প্রশ্নে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন মোদী। ‘মৌলবাদী জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের কথা বলেন ট্রাম্পও। কিন্তু আজ তিনি বলেন, ‘‘কাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে শুনলাম। সেটা আশা করিনি।’’ তবে একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য ‘‘ওই কথা শুনে ৫০ হাজার মানুষ খুশি হলেন।’’ কিন্তু মোদী তো জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন? ট্রাম্পের জবাব, ‘‘আমি ইরানকেই বেশি ইঙ্গিত করেছি।’’
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের অবশ্য দাবি, এটা প্রত্যাশিতই ছিল। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ‘‘পাকিস্তানকে পুরোপুরি ছুড়ে ফেলা ট্রাম্পের পক্ষে সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে দু’পক্ষ চাইলে তবেই তিনি সালিশি।


Find out more: