দিলীপ ঘোষের পর এবার বাবুল সুপ্রিয়। একজনের ‘সহজ পাঠ’ তথ্য আর অন্যজনের ‘সতীদাহ’ । বৃহস্পতিবার ‘খোলা হওয়া’ নামের একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠনের উদ্বোধনে এসে সকলকে অবাক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ‘সতীদাহ প্রথার বিলোপ ঘটিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।’
এদিন, কলকাতা একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ‘খোলা হওয়া’ নামের একটি ‘অরাজনৈতিক’ সংগঠনের আত্মপ্রকাশের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন, স্বপন দাশগুপ্ত, রন্তিদেব সেনগুপ্ত, অরিন্দম চক্রবর্তী, অভিনেত্রী রিমি সেন-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে বাবুল বলেন, ‘রাজ্যে আজ কোনও কিছুরই স্বাধীনতা নেই । টলিউড এখন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাবে রয়েছে। সেখানে নানা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় ফিল্ম ইনডাস্ট্রি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। এখানে ভয়ের রাজনীতি চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাগহীনটা ফিরিয়ে অন্তেই এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে '।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের বক্তব্য এপর্যন্ত ঠিকই ছিল। তবে বিতর্ক বাঁধে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে করা তাঁর একটি মন্তব্যে। তিনি বলেন, ;’আজ বিদ্যাসাগরের জন্মবর্ষিকীতে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করল। এটি বড় সুখের কথা। বিদ্যাসাগর মশাই সতীদাহ প্রথার বিলোপ ঘটিয়েছিলেন।’
বাবুলের এই মন্তব্যে রীতিমতো দান বেঁধেছে বিতর্ক।তবে বিজপি নেতাদের পক্ষ থেকে এহেন মন্তব্যএই প্রথম নয় । মনীষীদের নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের এহেন মন্তব্য কাম্য নয় বলেই মনে করছেন বুদ্ধিজীবীরা ।