দীর্ঘ ২৫ দিন অন্তরালে থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমার। এতদিন ধরে হন্যে হয়ে সিবিআই খুঁজেও তার নাগাল পায়নি। কলকাতায় তো বটেই, বিভিন্ন জেলায় গিয়ে হোটেল, রিসর্ট, বহুতল এমনকি নার্সিংহোমেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। তার পরেও অধরা রয়ে গিয়েছেন রাজীব কুমার। শেষ পর্যন্ত ‘অন্তরাল’ থেকেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয় কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ দিন তিনি আলিপুর আদালত থেকে দুই জামিনদারের মাধ্যমে আগাম জামিন নিশ্চিত করেন।
শুক্রবার থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত আদালত বন্ধ হয়ে যাবে। এ দিন আগাম জামিন নিশ্চিত না করালে লক্ষ্মীপুজোর পরে আগাম জামিনের শর্তপূরণ করে তা নিশ্চিত করতে হত। কিন্ত এ দিন নিজেই রাজীব আদালতে হাজির হন।
হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পরে নিম্ন আদালত থেকে তা নিশ্চিত করতে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। আগাম জামিন পাওয়ার পর আইনজীবীদের মত, এ বার তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাঁকে গ্রেফতার না করার যে ‘রক্ষাকবচ’ হাইকোর্টে ছিল, তা উঠে যাওয়ার পরই রাজীব কুমারকে সারদা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে নোটিস পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু তিনি হাজিরা না দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। একই সঙ্গে তিনি আগাম জামিনের জন্যে আবেদন করেন নিম্ন আদালতে। প্রথমে এমপি-এমএলএ বিশেষ আদালতে, তার পর বারসাত জেলা আদালতে এবং সব শেষে আলিপুর জেলা আদালতের শরণাপন্ন হন। কিন্তু তিন আদালতেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদন ধাক্কা খায়। এর পর তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার আগাম জামিনের আবেদন জানান কলকাতা হাইকোর্টে। চার দিন দীর্ঘ শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্ট তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।