দূনীর্তি বিরুদ্ধে সরব হয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন শেখ হাসিনা । বাংলাদেশ এখন দূনীর্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেছে । এতদিন দূনীর্তির প্রশয়দাতা হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারকে বলা হত । এমনকি বিএনপি কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে দূনীর্তি মামলাও দায়ের করা হয়েছে । খালেদা জিয়ার পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে , দূনীর্তির দায়ে খোদ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জেলে আছেন ।
কিন্ত হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দূনীর্তি তার দলকেই গ্রাস করে তুলেছে । সম্প্রতি তাঁর দলের ছাত্র নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কাটমনি নিয়ে দর কষাকষি করতে গিয়ে বহিস্কার হয়েছেন । সমগ্র বাংলাদেশে এখন হাসিনা সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দূনীর্তির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । আর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসিনা কড়া পদক্ষেপ করছেন বলে জানা গেছে ।
শেখ হাসিনা সম্প্রতি এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‘দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গি দমনে জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। দল, আত্মীয়, পরিবার বলে কিছু নেই। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না!’’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন ‘‘উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা উইপোকায় খেয়ে যাচ্ছে। আইনি চিকিৎসায় সেই উইপোকাদের বিনাশে নেমেছে সরকার। দুর্নীতিবাজরা যতই প্রভাবশালী হোক, ছাড় পাবে না।’’
এরপরেই একের পর এক ক্লাব ও বাড়িতে পুলিশি অভিযান। উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, মাদক। মিলেছে এত দিন ধরে গোপনে চালানো জুয়া বা ক্যাসিনোর সিন্ডিকেট। আর গ্রেফতার হওয়া মাথারা অনেকেই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ, কেউ কেউ নানা সংগঠনের উচ্চ পদাধিকারী। সেই ক্যাসিনো-চক্রের মাথা হিসেবে ধরা হয় শাসক দলের এক যুবনেতাকে। তিনি আবার শাসক দল আওয়ামি লিগের বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী নেতার ঘনিষ্ঠ।
গ্রেফতার করা হয় যুবলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া-সহ ১৪৩ জনকে। দেহরক্ষীর বহর-সহ ধরা হয় আর এক প্রভাবশালী যুবনেতা ও ঠিকাদার শিরোমণি জি এম শামিমকে, যাঁর বিরুদ্ধে নামে-বেনামে কয়েকশো কোটি ডলারের সম্পদ তৈরির অভিযোগ রয়েছে। ঐতিহ্যশালী ঢাকা মহামেডান ক্লাবে হানা দিয়েও ক্যাসিনো চক্র পেয়েছে র‌্যাব। গ্রেফতার করা হয়েছে ক্লাবের হর্তাকর্তাদের।  গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন সরকার ঘনিষ্ঠ বহু ব্যবসায়ী ও যুবনেতা।
যুবনেতা খালেদ জেরায় তাদের জানান, লাভের অংশ তিনি নিয়মিত প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের কয়েক জন প্রভাবশালী নেতাকে পৌঁছে দিতেন। কোনও কোনও প্রভাবশালীকে কোটি টাকা দামের গাড়িও উপহার দিতে হয়েছে। সেই টাকা বিদেশে বসবাসকারী অপরাধ জগতের মাথাদের কাছেও যায়।
তবে এটা ঠিক অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের মত শেখ হাসিনা দলের নেতা ও কর্মীদের বিশ্বাস করেছিলেন । তাঁদের দূনীর্তি সহ সমাজবিরোধী নানা কাজে ছাড় দিয়েছিলেন । আর এখন সেই কাজের গতি আটকাতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল । ভারতের নরেন্দ্র মোদী যে বিপুল গরিষ্ঠতা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সাধারন মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন , একইভাবে হাসিনাও ব্যর্থ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।


Find out more: