যদিও ইস্তফা দিয়েছেন বি-এস-এফ এর এর পাইলট উইং কমান্ডার জে এস সাঙ্গোয়ান, কিন্তু তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিমান ওড়ানোর জন্য বিএসএফ-কে ভুয়ো ইমেল পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে সাঙ্গোয়ানের বিরুদ্ধে। সেই তদন্ত এখনও চলছে। সূত্রের খবর, সাঙ্গোয়ানের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার অর্থ হল, তাঁকে আর তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে না।
বিএসএফ সূত্রের খবর, স্বেচ্ছাবসরের আর্জি জানিয়ে গত ২ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর পিটিশন দাখিল করেন সাঙ্গোয়ান। এ প্রসঙ্গে বিএসএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে হেতু সাঙ্গোয়ানের বিষয়টি তদন্তাধীন, তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত জুন ও জুলাইয়ে বিএসএফ এয়ার উইং-এর কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ই-মেল পায় লারসেন অ্যান্ড টুবরো সংস্থা। সেই ইমেলে সাঙ্গোয়ানকে এল অ্যান্ড টি-র বিমান ওড়ানোর সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। চার হাজার ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে সাঙ্গোয়ানের, ইমেলে এমনও দাবি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বিএসএফের-ই এক শীর্ষ আধিকারিকের নামে সেই ইমেলগুলো পেয়েছিল এল অ্যান্ড টি। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এল অ্যান্ড টি। অভিযোগ, তখনই ভুয়ো ইমেলের বিষয়টি সামনে আসে। এ ব্যাপারে ডোমেস্টিক এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিএসএফও আলাদা ভাবে অন্তর্তদন্ত শুরু করে।