দেশের রেল দফতর বিলাস বহুল ট্রেন চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল ঘটা করে । এই বিলাস বহুল ট্রেনে আনন্দ-বিনোদনের সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয় । অবাঙালি বিবাহিত মেয়েদের অনুষ্ঠান করবা চৌথ । এতে স্ত্রী সারাদিন উপোষ করে সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পর খাবার খেয়ে থাকে । স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই ধরনের অনুষ্ঠান করে অবাঙালি মেয়েরা । উপোষ থাকার পর স্বামীর মনোরঞ্জনে নিজেদেরকে উজাড় করে দেয় স্ত্রীরা । এই ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিলাস ট্রেন যাত্রার আয়োজন করে রেল দফতর । কিন্ত তা বাতিল করতে হল ।
মন্দা অর্থনীতির জেরেই বলা যায় । আজকের নগদের অভাবে সমগ্র দেশ যখন সংকটে ঠিক তখনই এই ট্রেনের ভাড়া কত জানেন ? এসি প্রথম শ্রেণিতে দম্পতি পিছু ভাড়া ছিল এক লক্ষ দু’হাজার ৯৬০ টাকা। আর দ্বিতীয় শ্রেণির এসি কামরার ভাড়া নির্ধারিত হয়েছিল ৯০ হাজার ৯০ টাকা। অনেকেই মনে করছেন, এই বিপুল ভাড়া ধার্য করাই কাল হল। এত টাকা ভাড়া দিয়ে ট্রেন সফরে যেতে রাজি হননি অনেকেই। স্বাভাবিকভাবেই তুঘলকি বুদ্ধির মাসুল দিতে হল রেলকে । মাত্র দুজন দম্পত্তি এই বিলাস বহুল ট্রেনের টিকিট কেটেছে । ফলে মহম্মদ বিন তুঘলকের মতই বিলাস বহুল রেল চালানোর সিদ্ধান্তকেই বাতিল করতে হল ।
ম্যাজেস্টিক রাজস্থান ডিলাক্স এক্সপ্রেসে আইআরসিটিসি অফার দিয়েছিল পাঁচ দিনের প্যাকেজ ট্যুর–এর। এক দিকে ট্রেনের মধ্যে রাজকীয় আয়েশের বন্দোবস্ত, সঙ্গে রাজস্থানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখার সুযোগ ছিল ট্রেন সফরে। শুধুমাত্র দম্পতিদের জন্যই বুকিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। তবে সঙ্গে শিশু সন্তানদের নিয়ে ঘোরার বন্দোবস্ত করেছিল আইআরসিটিসি। এ বছর করবা চৌথ পড়েছে ১৭ অক্টোবর। সেই উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর দিল্লির সফদর জং স্টেশন থেকে ছাড়ার কথা ছিল। অক্টোবরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন রাজস্থানের জয়সলমের দুর্গ, পাটন কি হাভেলি, মেহরানগড় দুর্গ, অম্বর দুর্গ, সিটি প্যালেসের মতো বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরিয়ে দেখানো হত।