দশমীর দিনে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল , তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের খুনের পেছনে রাজনীতি আছে বলে বিজেপি দাবি করলেও পুলিশ তা মনে করছে না । আজ শনিবার জিয়াগঞ্জে থানার পাশাপাশি বন্ধুপ্রকাশ পালের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সিআইডি তদন্তে নেমেছে । শনিবার গোয়েন্দাদের একটি দল জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে ঘটনাস্থল–সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছেন।
পুলিশ খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে না। এর নেপথ্যে পারিবারিক সমস্যা অথবা আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তারা। আক্রোশের জেরে সুপারি কিলার দিয়ে বন্ধুপ্রকাশ, তাঁর স্ত্রী বিউটি এবং পাঁচ বছরের ছেলে অঙ্গনকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অবশ্য বিজেপি তাদের তত্ত্বে অনড়। শিক্ষক খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। পরিবার না মানলেও, বন্ধুপ্রকাশ আরএসএস কর্মী ছিলেন বলে দাবি সংগঠনের। একই বক্তব্য বিজেপিরও।  এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হচ্ছে।বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় স্বামী, স্ত্রী ও ছয় বছরের শিশুসন্তানের ক্ষতবিক্ষত দেহ। খুনের পর দুদিন কেটে গেলেও কোনো খুনি ধরা পড়েনি । যে দুধ বিক্রেতা খুনিকে দেখেছিলেন বলে দাবি করেছেন তার বিবরণ মত খুনিকে খোঁজা হচ্ছে । তবে জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন , আশা করা হচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুনিকে ধরা সম্ভব হবে ।


Find out more: