সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্ধে গিয়ে; এলাকার বাসিন্দারা এবার নজর কারল ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার হাড়িপুকুর গ্রামে। হাড়িপুকুর গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায় ওই গ্রামের কালি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণ করেন ও কালীপুজোর সময় তারাই এই মন্দিরে কালি মাতার পুজো করেন। যদিও মন্দিরের পুজো হয় রীতি অনুযায়ী হিন্দু পুরোহিতের দ্বারা।
দীপাবলির আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে দুই বাংলার মানুষ।কালীপুজো কে ঘিরে সেজে ওঠে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার হাড়িপুকুর গ্রাম।সাম্প্রদায়িকতার উর্দ্ধে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সাথে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে প্রহারত বি এস এফ জয়ান রাও মেতে ওঠে এই আনন্দ অনুষ্ঠানে।
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপর কিছু নাই,এই বাক্যটি পূর্ণতা পায় হারিপুকুর গ্রামের কালীপুজোর দৃশ্য দেখে। সারা বছর হিন্দু পুরোহিত দ্বারাই মায়ের থানে পুজো হয়। দেশ ভাগের পর থেকেই এখানে কালি মাতা পূজিত হচ্ছে।যদিও সমস্ত জাগার মত এখানে মূর্তি পুজো হয় না। এখানে হয় ঘট পুজো, কিন্তু গ্রামবাসীরা মানেন এই মায়ের থান খুবই জাগ্রত।সারাবছর কাটা তারের বেড়ায় এপার বাংলার হারিপুকুড় গ্রাম ও ওপার বাংলার বাঘমারা গ্রাম আবদ্ধ থাকলেও,কালি পুজোর সময় সেজে ওঠে সকলেই।রীতি অনুযায়ী পুজোর পরদিন খিচুড়ি ভোগের আয়োজন করা হয় এবং এই প্রসাদ খেতে অংশ গ্রহণ করে হিন্দু,মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষরা।কালীপুজোর সময় এই অভিনব দৃশ্য দেখে মনে পড়ে যায় কাজী নজরুল ইসলামের সেই বিখ্যাত লাইন, “ মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান…”।