একটি বিমার রসিদের সূত্র ধরে জিয়াগঞ্জ শিক্ষক খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। মুর্শিদাবাদেরই সাগরদিঘি থেকে, উৎপল বেহরা নামে বছর কুড়ির এক তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে উত্পল। ২৪ হাজার টাকা নিয়ে গোলমালের জেরেই, আক্রোশবশত এই খুন বলে পুলিশকে জনিয়েছে তরুণ। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ পুলিশের দাবি, বিজয়া দশমীর দিন সাহাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি ও ছ’বছরের ছেলে অঙ্গনকে হাঁসুয়ার কোপে খুন করে উৎপল। মঙ্গলবার উৎপলকে তার গ্রাম সাহাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই সাহাপুরের প্রাথমিক স্কুলেই পড়াতেন বন্ধুপ্রকাশ।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, স্কুলশিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ নানা রকম অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিমাও করাতেন। ধৃত উত্পলকেও একটি বিমা করিয়েছিলেন তিনি। উত্পল মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রি ইত্যাদির কাজে বাইরে গেলেও, মূলত বেকার। তার বিমার বাত্সরিক কিস্তি ছিল ২৪ হাজার টাকার। উত্পলের অভিযোগ, প্রথম বারের কিস্তির টাকার রসিদ তাঁকে দিয়েছিলেন বন্ধুপ্রকাশ। কিন্তু দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও, দ্বিতীয় কিস্তির রসিদ দেননি।
উত্পলের দাবি, রসিদ নিয়ে লাগাতার তাগাদা দিয়েও লাভ হয়নি। উল্টে তার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেন বন্ধুপ্রকাশ। উত্পলের সন্দেহ হয়, বিমার টাকা জমাই দেননি তিনি। এর পর, প্রবল আক্রোশ আর প্রতিশোধস্পৃহা থেকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে উত্পল।
খুনের প্রমাণ লোপাট করতেই তাঁর স্ত্রী ও পুত্রকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে উৎপল।