রাজ্য সরকারের অধীন স্বশাসিত সংস্থাগুলির কর্মীদেরকে বেতন কমিশনের আওতায় আনার জন্য কমিশনকে আলাদা করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এর ফলে মাধ্যমিক ,উচ্চমাধ্যমিক , মাদ্রাসা বোর্ড , কমিশনের কর্মীদেরকে বেতন কমিশনের আওতায় আনা হবে ।
পাশাপাশি রাজ্যের সাহায্য প্রাপ্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নন টিচিং স্টাফ, কর্মীরাও যাতে নয়া বেতন কমিশনের সুপারিশ ভোগ করতে পারে তা বেতন কমিশনকে দেখতে বলল রাজ্য। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ দফতর।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ,আগামী তিনমাসের মধ্যে এই সমস্ত কর্মীদের বেতন কাঠামো খতিয়ে দেখতে হবে। কীভাবে এই সমস্ত কর্মীরাও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ ভোগ করতে পারেন সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখার পরেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে জমা দিতে বলা হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখার পরেই এই সমস্ত কর্মীদের বেতন কতটা বাড়ানো সম্ভব তা অর্থ দফতর ঠিক করবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পে-কমিশন নিয়ে প্রতীক্ষায় ছিলেন লক্ষাধিক রাজ্য সরকারি কর্মী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পুজোর আগেই ষষ্ঠ পে কমিশনে অনুমোদন দেয় রাজ্য মন্ত্রীসভা। ২০২০-র ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে নয়া বেতনক্রম৷ ১০০ টাকা বেসিক পে বেড়ে হচ্ছে ২৮০.৯০ টাকা ৷ ফলে এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হল ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা ৷
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল প্রভাবিত সরকারি কর্মী সংগঠনের সভায় ষষ্ঠ বেতন কমিশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ জানান, বেসিকে ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ন্যূনতম বেসিক হবে ১৭৯৯০ টাকা ৷ এর জন্য বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে সরকারের ৷