দেশজুড়ে হবে এনআরসি । জাতীয় নাগরিক পঞ্জী করার জন্যই নাকি রাজ্যে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প । বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একথা বলেছেন । তিনি আরও বলেছেন , কোনো অনুপ্রবেশকারীকে এদেশে থাকতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য ,অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার আগেই অনেকের নাগরিকত্বকে ‘সন্দেহজনক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ‘ডি–ভোটার’ করে দেওয়া হয়ে‌ছিল। অনেককেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে। কোকরাঝাড় এবং গোয়ালপাড়া জেলায় কয়েকটি সংশোধনাগারের মধ্যেই সেই ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি তৈরি করা হয়েছিল। তবে এ বার গোয়ালপাড়ায় আলাদা জমি চিহ্নিত করে সেখানে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি শুরু হয়েছে।
শুধু অসমে নয়, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রেও তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। দুটোই বিজেপি শাসিত রাজ্য। কর্নাটকে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরু থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সোন্ডেকোপ্পায়। সে রাজ্যের প্রশাসন যদিও ওই পরিকাঠামোর বিষয়ে বলার সময়ে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ শব্দটি ব্যবহার করছে না। বলা হচ্ছে ‘গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’ (মুভমেন্ট রেস্ট্রিকশন সেন্টার)। আর মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বইতে যে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে মন্তব্য করার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন আরও সতর্ক। বলা হচ্ছে, বেআইনি পাসপোর্ট মামলায় অভিযুক্তদের ওখানে রাখা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিন্তু রাখঢাক করেননি। নিউজ ১৮–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, দেশের নানা প্রান্তে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে কারণ, সরকার গোটা দেশে এনআরসি চালু করার জন্য ‘আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে’।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে নাগরিকত্ব খারিজ করার প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করার দায়িত্ব ফরেনার’স ট্রাইবুনালের— সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু তার পরের পর্বটার জন্য সরকারকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অমিত শাহ বলেছেন, ‘‘প্রক্রিয়াটা সবে শুরু হয়েছে।’’
অমিত শাহের সাক্ষাৎকারটিতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, সারা দেশের জন্যই এনআরসি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। সরকার সেই পথেই এগোবে। সেই প্রক্রিয়ার গতি যে এ বার বাড়ানো হচ্ছে, তা–ও বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


Find out more: