গতবারের মতো এবারেও শহিদ মিনারের ময়দানে বাজি বাজার হবে কি
না সেই জট দেখা গিয়েছিল। অবশেষে শুক্রবার সেনার থেকে এনওসি পাওয়া গিয়েছে। শেষ
মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে এবার ময়দানের বাদি বাজারের শ্রেষ্ঠ
আকর্ষণ ‘চক্কর’। ব্যাপারটা
বুঝতে পারছেন না তো ? তাহলে খুলেই বলা
যাক। এবারে প্রায় ৩০০০ হাজার রকমের বাজি পাওয়া যাবে ময়দানের বাজি বাজারে। তার মধ্যে সেরা আকর্ষণ
‘চক্কর’। আকাশেও উড়বে
চরকি।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর কালীপুজোয় ময়দানের শহিদ মিনার চত্বর, বিজয়গড়, বেহালা, টালা, কালিকাপুরে বাজি বাজার বসে। এদের মধ্যে সব চেয়ে বড় বাজি বাজার হয় ময়দান চত্বরে। কিন্তু গত বছর সেনাবাহিনীর থেকে অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় সেই বাজি বাজার বসেছিল বিবেকানন্দ পার্কে। তবে এবার একাধিক বৈঠকের পরে এ নিয়ে সবুজ সঙ্কেত মিলেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এনওসি না মেলায় সবই জেনা ভেস্তে যাওয়ার পথে। বাজার শুরু হতে চার দিন বাকি থাকলেও তখনও সেনার থেকে এনওসি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘মাত্র চার দিন বাকি, অথচ সেনা আমাদের এখনও এনওসি দিচ্ছে না। যে কারণে গত বছর আমরা ময়দানে বাজি বাজার করতে পারিনি। এবারেও যদি একই সমস্যা হয় তাহলে আমরা উইথড্র করব। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এনওসি না পেলে এ বছর আমরা বাজি বাজার করবই না।’ তবে এনওসি পাওয়া যায়।
বাবলা রায় জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই উদ্বোধনের জন্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতে রাজি হয়েছেন। তবে তাঁর ক্ষোভ পরীক্ষার জন্য ৩৪ টি বাজি পাঠানো হলেও পাশ করেছে মাত্র ১২ টি বাজি। যা চিনা বাজিকে ঢোকানোর চক্রান্ত বলেও দাবি তাঁর। আবার ১২টি বাজির মধ্যে ৬টি অনুমতি মিলেছে। বাকি ৬টির লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় অনুমতি মেলেনি। লাইসেন্সের জন্য একাধিকবার এক জানালা ব্যবস্থার দাবি জানালেও তা আজও বাস্তব রূপ নেয়নি বলে অভিযোগ সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যানের।