জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির
সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রচারে যে ঝড় তুলেছিল সেই
প্রচারের প্রেক্ষিতে আশানুরুপ ফল পেলনা বিজেপি। দুই রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায়
ধাক্কা খেল বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে সঙ্গী করে গড় রক্ষা করতে পারলেও
হরিয়ানায় কংগ্রেস কিন্তু ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। পরিস্থিতি যা তাতে যে কোনও
দিকেই মোড় ঘুরতে পারে।
২০১৪ সালের ভোটে বিজেপি যে পরিমান আসন পেয়েছিল, তখন অনেকটা বাধ্য হয়েই বিজেপির হাত ধরতে হয়েছিল শিবসেনাকে। এবারে জোটে লড়াই করলেও পাল্লা ভারি শিবসেনার। বিজেপির আসন কমলেও মোটের উপর গত বিধানসভা আসনের প্রায় কাছাকাছি আসন ধরে রাখতে পেরেছে শিবসেনা। জোট ১৬০-র বেশি আসন পেয়েছে। এর ফলে অনেকের মতে আড়াই বছরের মেয়াদ করে ভাগ করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করতে পারে শিবসেনা। ভোটের আগেই ঠাকরে পরিবারের প্রথম সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী করার জোরদার দাবি জানিয়েছিল শিবসেনা। সেোই দিক এরকম প্রস্তাব দেওয়া হলে বিজেপি কী করে সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে, হরিয়ানা কার্যত ত্রিশঙ্কুর আকার নিয়েছে। জেজেপি ফ্যাক্টার দেখা দিয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে বিজেপির এখনও ৭-৮টি আসন প্রয়োজন। (এই পরিসংখ্যান ফাইনাল নয়।) তবে হরিয়ানার কংগ্রেসের এই প্রত্যাবর্তন অনেক হিসেবেই পাল্টে দিয়েছে। এখন দেখার হরিয়ানায় বিজেপি আদৌ গড় রক্ষা করতে পারে কি না।