
রাতভোর জল্পনার পর অবশেষে হরিয়ানায় সরকার গড়তে চলেছে
বিজেপি। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ
জানিয়েদিলেন, জেজেপি-কে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, দুষ্মন্তের দলের
উপমুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা দুই রাজ্যই চষে বেড়িয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারাকেই হাতিয়ার করা হয়েছিল এই দুই নির্বাচনে। মহারাষ্ট্রে আশানুরুপ ফল না পাওয়া গেলেও সেখানে বিজেপি-শিবসেনাই সরকার গঠন করছে। কিন্তু হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কু হয়েছে ফলাফল। যা মোটেই বিজেপির কাছে ভালো কথা নয়। এমনকী সরকার গঠন করলে মনোহর লাল খাট্টারকে মুখ্যমন্ত্রী যাতে না করা হয় সেই নিয়ে কথা উঠতেও শুরু করেছিল বলে সূত্রের খবর। তবে শেষ পর্যন্ত খাট্টারই রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ৭৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ৪০ আসনে থামতে হয়েছে বিজেপিকে। যা মোটেও সন্তুষ্ট করেনি অমিত শাহকে। তবে সরকার গড়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল তা অমিত শাহ আসরে নেমে মিটিয়ে ফেলেছেন। হরিয়ানার ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েচে ৩১টি। সরকার গড়তে দরকার ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ‘কিং-মেকার’ হিসেবে উঠে এসেছিলেন আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়া দুষ্মন্ত। তাঁকে পাশে পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। তার পরেও অবশ্য অন্তত পাঁচ নির্দলের সমর্থন দরকার হত কংগ্রেসের।