মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে কুলগামে জঙ্গি হামলায় মুর্শিবাদের পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর দায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপর চাপালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এরাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে চার হাজার কিমি দূরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাক সীমান্তের কাছে কাজ করতে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। রাজ্য সককারের বাংলায় কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। তাহলে আর কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাবে না’।
প্রসঙ্গত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া ৫ শ্রমিকের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করে কড়া তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি।
কাশ্মীরের বিষয়ে বলতে গিয়ে এদিন খড়গপুরে দিলীপ বাবু দাবি করে বসেন, 'কাশ্মীরে কোনও বাঙালি মারা যায়নি। ওখানে শ্রমিকরা মারা গিয়েছেন। একইভাবে আরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তানের মদতে সেখানে উগ্রপন্থা চলছে। আমাদের সেনা ও সরকার কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।' দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি পেশাগতভাবে কেউ শ্রমিক হলে তাঁর জাতিসত্ত্বা মুছে যায়?
দুমাস আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারপর সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বপ্রথম জানতে, মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়েছেন ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে নিরাপত্তারক্ষীরা, এবং ব্যাপকভাবে তল্লাশি অভিযান চলছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীও তলব করা হয়েছে।