স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকে বাম সরকার প্রতি বছরই পরীক্ষা নিত । তাতে রাজ্যের বেকার ছেলেমেয়েদের কাছে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার একটা সুযোগ ছিল । কিন্ত তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হয়ে চিত্তরঞ্জন মন্ডল চেষ্টা করেছিলেন কমিশনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের । কিন্ত তা তিনি করতে পারেননি । তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল । তারপর থেকে এসএসসি যেন জগদ্দল পাথরে পরিণত হয়েছে । ২০১৩-র নিয়োগের পর আবার ২০১৬ তে পরীক্ষা নেওয়া হয় । সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও চলছে । অথচ বাম সরকারের আমলে এসএসসি প্রতিবছর হত । প্রথমবারই দু বছর পর হয় । তারপর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তা প্রতিবছর হত ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি এই কাজে সন্তুষ্ট নন । তিনি বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কোথাও আবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন , দূনীর্তি হবে না , অথচ নিয়োগ দ্রূত হবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর এসএসসি কর্তৃপক্ষ দ্রূত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এবার নাকি পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করতে চাইছেন । দূনীর্তি মূল আতুড় ঘর ইন্টারভিউ পদ্ধতি তুলে দিতে চাইছে এসএসসি বলে জানা গেছে । লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে । আর তার সঙ্গে যোগ হবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রাপ্ত নম্বর ।
অনেকে অবশ্য বলছেন , এক কথায় উত্তর কিংবা টিক চিহ্ন দিয়ে উত্তর পত্র তুলে দিতে । কিন্ত তা সম্ভব হবে না কারণ এনসিটিই-র নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগে এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে । তবে , শিক্ষাগত যোগ্যতার মান নির্ধারণের জন্য আগের মত দুই নম্বরের প্রশ্ন করা যায় কিনা তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে এসএসসি ।
সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত স্বচ্ছ ,দূনীর্তিমুক্ত পরীক্ষা চালু করতে চলেছে এসএসসি ।