
বিজেপি শিবসেনা তরজা তুঙ্গে, কেও কাওকে এক ইঞ্চি ছাড়তে রাজি নয়। মুখ্যমন্ত্রী যদি হতে হয় তাদের দল থেকেই হবে। এই মনোভাব নিয়ে গোঁ ধরে আছে দু’দলই। শিবসেনার দেওয়া আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব আগেই খারিজ করেছে বিজেপি। ফলে দু’দলের সম্পর্কের ফাটলটা আরও চওড়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।
শুক্রবার সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত ফের ইঙ্গিত দিলেন, মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে কোনও ভাবেই আপসের রাস্তায় যাবেন না তাঁরা। সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিলেন, বিজেপিকে ছাড়াই তাঁরা সরকার গঠন করতে পারেন। সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাত্কারে রাউত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হবে শিবসেনা থেকেই। যদিও উদ্ধব ঠাকরে বলেই দিয়েছেন সেনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবে। এবং সেটা হবেই, লিখে নিন।” পাশাপাশি তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রের সরকার গঠনে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতেই পারে শিবসেনা।
রাউত এ দিন আরও বলেন, “মহারাষ্ট্রের মানুষ ৫০-৫০ ফর্মুলার ভিত্তিতেই জনাদেশ দিয়েছেন। তার ফলাফল সামনেও এসেছে। রাজ্যবাসী চায় মুখ্যমন্ত্রীই হোক শিবসেনা থেকেই।” শিবসেনা থেকে অনেককেই মন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে, এমনও নাকি প্রস্তাব দিয়েছিল বিজেপি, দাবি রাউতের। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ দিন বিজেপিকে আক্রমণ করে রাউত বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীরা কি ব্যবসায়ী?” পাশাপাশি একটি কটাক্ষমিশ্রিত টুইটও করেন তিনি। বিজেপির নাম উল্লেখ না করে সেখানে রাউত বলেন, “এত ঔদ্ধত্য ভাল নয়। কালের সমুদ্রে অনেক রথী-মহারথীকে তলিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।”
এ বারের নির্বাচনে বিজেপি পার্থী দিয়েছিল ১৬৪টি আসনে। শিবসেনা দিয়েছিল ১২৪টিতে। অন্য দিকে, ১৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, এনসিপি লড়েছে ১২১টি আসনে। ফল বেরনোর পর দেখা যায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি, শিবসেনা সেখানে ৫৬টি। অন্য দিকে, শক্তি বাড়িয়ে ৫৪টি আসন নিয়ে উঠে এসেছে এনসিপি। ভোটের আগে আসন নিয়ে একটা টানাপড়েন চলছিল সেনা-বিজেপির মধ্যে। সেটা কোনও ভাবে সামাল দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে শিবসেনার দাবি নিয়ে টানাপড়েনটা যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সেখানে গিয়েই আপাতত থেমেছে। মহারাষ্ট্রের ব্যাটন কার হাতে উঠবে বিজেপি না কি শিবসেনা, এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।