ইজরাইলী এক সংস্থা দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিকের হোয়াটসঅ্যাপে আড়ি পেতেছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ । কেন ভারতের নাগরিক উপর নজরদারি চালানো হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । নাগরিক সমাজ এর জন্য সরাসরি ভারত সরকারকেই নিশানা করেছে । তাদের যুক্তি হল সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো সংস্থা এভাবে বেছে বেছে নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাতে পারে কি ? বিরোধী দলগুলিও এনিয়ে সরব হয়েছে ।
এবার এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী । তিনি আজ টুইট করে লিখেছেন , ‘সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিকদের ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে ইজরায়েলি সংস্থার সঙ্গে বিজেপি সরকারের কোনওরকম কথা হয়ে থাকলে, তা মানবাধিকার বিরোধী এবং জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে কলঙ্কের। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফাই চাইছি।’’
তাঁদের অ্যাকাউন্টে আড়ি পাতা হচ্ছে বলে গত এক সপ্তাহ ধরে হোয়াটসঅ্যাপের কাছ থেকে সতর্কবার্তা পেয়েছেন একাধিক বিশিষ্ট নাগরিক, যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় ‘শহুরে নকশাল’ তকমা প্রাপ্ত সমাজকর্মীদের আইনজীবী নিহাল সিংহ রাঠৌর, আদিবাসী অধিকারের সপক্ষে সওয়াল করা বেলা ভাটিয়া, মানবাধিকার কর্মী ডেগ্রিপ্রসাদ চৌহান-সহ আরও অনেকে। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের দাবি। ভিডিয়ো কলের সময় এঁদের ফোনে পেগেসাস নামের একটি স্পাইওয়্যার বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও।
ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা ঠুকেছে হোয়াটসঅ্যাপের পেরেন্ট সংস্থা ফেসবুক। চাওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও। তার পরেই বৃহস্পতিবার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে বলে মোদী সরকার। কিন্তু এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস দল এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ।