আগে বলত গুজরাট মডেলে উন্নয়ন হবে , এখন তা অসম মডেলে মানুষকে রাষ্ট্রহীন করা হচ্ছে । আবার বলা হচ্ছে বিজেপির মোকাবিলা একমাত্র তৃণমূল করতে পারবে । আসলে এরা দুজনই একে অপরের পরিপূরক । বামপন্থীরা দূর্বল হয়ে গিয়েছিল বলে সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার নেমে এসেছে । এখন আমরা মানুষকে সঙ্গে এনআরসি রুখবই । এটা বামপন্থীদের অঙ্গীকার । আজ বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে এনআরসি বিরোধী পদযাত্রা , অবস্থান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম একথা বলেন । তিনি মোদী ও দিদিকে লক্ষ্য করে বলেন , দিল্লিতে মোদির লুঠ, রাজ্যে চলছে দিদির লুঠ’। একজন ব্যাংক থেকে টাকা লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্য জন চিটফাণ্ডের মাধ্যমে টাকা লুঠ করেছেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরী হচ্ছে, সরকারি চাকরি নিলাম হচ্ছে, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হচ্ছে। অনেকে মনে করেছিলেন তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনলে ভালো হবে। আবার অনেকে বলেছিল বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল। বাস্তবে কেউ কাউকে আটকাচ্ছে না। ‘গুজরাট মডেলে’র কথা বলে এখন আসাম মডেল চালু করতে চাইছে’। সেই সঙ্গে ভাষা, ধর্ম, পোশাক এবং খাওয়া নিয়েও মানুষের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে।”
এনআরসির বিরোধিতা নিয়ে সেলিম আরও বলেন, ‘বামপন্থীরা দুর্বল হয়েছিল বলেই এই সুযোগ তারা পেয়েছিল। বামপন্থীরা এককাট্টা হওয়া মানেই মানুষ এককাট্টা হওয়া’। সেকারণে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেই তারা এনআরসি রুখবেন বলেও আত্মবিশ্বাসী সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ পদযাত্রা প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘সারা দেশ জুড়ে এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে’। রাজ্য ও জেলা স্তরের পর এবার প্রতিটি ব্লকে মিছিল, সমাবেশ হচ্ছে। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি পাত্রসায়রে গত দশ বছরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী হয়েছিল।”
এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি জানান, “কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, জরিমানা, মিথ্যা মামলা দেওয়া, পাট্টাদারদের উচ্ছেদ, রুটিরুজি বন্ধ থেকে খুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিতেই এই গণ আন্দোলন সংগঠিত হচ্ছে।”
এদিন সাধারণ দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে লাল ঝাণ্ডার দীর্ঘ এই মিছিলে পথ হাঁটেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম, দলের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সম্পাদক অজিত পতি সহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ।