সোনিয়া গান্ধী , রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্র সরকার বলে জানা গেছে । এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের যুক্তি কী ? সরকার বলছে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকি অনেকটা কমে গেছে । তাই আর এসপিজি নিারপত্তার প্রয়োজন নেই । বাজপেয়ী সরকারের আমলে এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য প্রতিবছর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হত ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ‘‘এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় যাঁরা রয়েছেন, প্রতিবছরই তাঁদের উপর হামলার আশঙ্কা কতটা রয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। গাঁধী পরিবারের উপর হামলা আশঙ্কা অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। তাই এসপিজি নিরাপত্তার বদলে অন্য বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
এদিকে কেন্দ্র সরকার গাঁন্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নিয়ে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছেন নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিটির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সরকারি আধিকারিকরা। এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও সোনিয়া-রাহুলরা একাধিক বার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকদের অভিযোগ, এসপিজি নিরাপত্তা পাওয়া সত্ত্বেও ২০১৫-’১৯-এর মধ্যে প্রায় ৫০ বার দিল্লির মধ্যেই বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি ব্যবহার করেননি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গাঁধী। আগে ভাগে কিছু না জানিয়ে গত পাঁচ বছরে দেশের মধ্যেই ১৩টি জায়গায় গিয়েছেন তিনি। এমনকি ২০১৫ থেকে ২৪টি বিদেশ সফরের সময় এসপিজি অফিসারদেরও সঙ্গে নেননি।
একই ভাবে ২০১৫-র মে থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দিল্লির বাইরে রাহুল গাঁধী ১৮৯২ বার বুলেট প্রতিরোধী গাড়ি ব্যবহার করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, ১৯৯১ সাল থেকে ১৫৬ বার বিদেশ সফরে গেলেও, ১৪৩ বারই এসপিজি অফিসারদের সঙ্গে নেননি তিনি। ২০১৫-র মে থেকে এসপিজি অফিসারদের বিরুদ্ধে একাধিক বার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধীও। যদিও এসপিজি-র তরফে বরাবরই তা অস্বীকার করা হয়েছে।