২০০৩ সালে দেশে নাগরিক পঞ্জী করার জন্য আইন করা হয় । সেই আইনে বলা হয়েছে দেশের সব রাজ্য নাগরিক পঞ্জী তৈরি করবে । আর ভারতের নাগরিক তারা হবেন যাদের জন্ম ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে ( ভুলবশতঃ আমজাদ সাহেব ভিডিওতে ১৯৮৬ সাল বলেছেন , এটা ১৯৮৭ সাল হবে ) ভারতে জন্ম হয়েছে । পিতা-মাতার জন্মও যদি ওই সময়ের হয়ে থাকে তাহলে তার সন্তানরাও ভারতের নাগরিক । এটা ভারতের নাগরিক আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে বলে বিশিষ্ট আইনজীবী সরদার আমজাদ আলী বলেন । তিনি বলেন , দেশের নাগরিক বাছাই করার ক্ষেত্রে তিনটি দিক লক্ষ্য রাখতে হবে নাগরিক আইন , পাশপোর্ট আইন , বিদেশী নাগরিক আইন । তিনটি আইনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিচার করা হবে ।
তিনি আরও বলেন , নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ভোটার কার্ড , আধার কার্ড , রেশন কার্ড ,জন্ম শংসাপত্র কিংবা স্কুল সার্টিফিকেট দেওয়া যেতে পারে । যেকোনো একটি নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে পেশ করা যাবে । আর যদি কোনো মানুষ কোনো প্রমাণ পেশ করতে না পারেন তবে সে যদি আট বছরের বেশি সময় এদেশে থাকে তাহলে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করলে স্বাভাবিক নিয়মেই নাগরিকত্ব পাবে । তাহলে এত আতংক কেন ? আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে । একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করার জন্য । কিন্ত মনে রাখতে হবে ভারতের নাগরিক আইনে কোনো ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা কিছু নেই । হিন্দু-মুসলমান -খ্রিষ্টান জৈন সবাই ভারতের নাগরিক । এটাই তার পরিচয় । তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্প কেন তৈরি হচ্ছে ? সরদার আমজাদ আলী বলেন , এখানেই আমাদের আপত্তি । এর আগে ডিটেনশন ক্যাম্প কে তৈরি করেছিলেন । হিটলার । তাহলে কী হিটলারের পথে দেশ যাচ্ছে ? এরপর কী বললেন বর্ষীয়ান আইনজীবী ও প্রাক্তন সাংসদ সরদার আমজাদ আলী