
আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলধুনা করে ভারত বলল যে, পাকিস্তান আজ নিজেদের দোষেই ঋণের ভারে জর্জরিত। গোটা দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া স্বত্বেও সন্ত্রাসবাদে কিন্তু মদত দিয়েই চলেছে, আসলে পাকিস্তানের ডিএনএ এর মধ্যেই আছে সন্ত্রাসবাদ।
ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে পাকিস্তান। তারই প্রত্যুত্তরে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাদের তীব্র সমালোচনা করে ভারত।
ইউনেস্কোর সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অনন্যা আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের ডিএনএ-র মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ রয়েছে। মৌলবাদী চিন্তা ভাবনা ওদের সামাজিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। উন্মাদের মতো আচরণের জন্য আজ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে ওরা।’’
ইউনেস্কোর মতো মঞ্চে দাঁড়িয়েও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের প্রতি বিষোদ্গার করা নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অনন্যা। তিনি বলেন, ‘‘ইউনেস্কোর মঞ্চে দাঁড়িয়েও ভারতের প্রতি বিষোদ্গার করছে পাকিস্তান। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’’
২০১৮ সালে পৃথিবীর দুর্বল রাষ্ট্রগুলির মধ্যে ১৪তম স্থানে ঠাঁই হয়েছিল পাকিস্তানের। তার পরেও সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন চলাকালীন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। কাশ্মীর নিয়ে কোথাও সুবিধা করতে না পেরে জানিয়েছিলেন, ভারত এবং পাকিস্তান, দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাধলে তার ফল ভয়ঙ্কর হবে। ইমরানের সেই আচরণেরও তীব্র নিন্দা করে ভারত।
কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষায় পাকিস্তানের নজর দেওয়া উচিত বলে মত অনন্যা আগরওয়ালের। তিনি বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ ছিল সংখ্যালঘু। এই মুহূর্তে তা তিন শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। কঠোর ধর্মদ্রোহী আইনে খ্রিস্টান, শিখ, অহমদিয়া, হিন্দু, শিয়া, পাশতুন এবং বালোচদের উপর নৃশংস অত্যাচার চলছে। সেখানে প্রতিনিয়ত অনার কিলিং, অ্যাসিড হামলা, জোর করে বিয়ে দেওয়া এবং বাল্য বিবাহের মতো অপরাধের শিকার হচ্ছেন মহিলারা।’’ নিজেদের দেশের সমস্যা না মিটিয়ে কোনও দেশ যাতে এ ভাবে আন্তর্জতিক মঞ্চের অপব্যবহার করতে না পারে, তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে ইউনেস্কোর সদস্য দেশগুলির কাছে আর্জি জানান অনন্যা অগরওয়াল।