জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্র আর
হরিয়ানায় ভোট প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি। কোনও খামতি ছিল না প্রচারে। বরং
বিরোধীরা কোথায় সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু সব হিসাব উল্টে গেল ফল
বেরনোর পরই। মহারাষ্ট্রে বিজেপির একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা তো দূরের কথা, শিবসেনার
সঙ্গে জোট করে সরকারই গড়তে পারল না বিজেপি। শেষমেষ ফল বেরনোর ১৮ দিন পরেও কোনও দল
সরকার গড়তে না পারায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে।
তবে এবার পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদের সরকার গড়বে বলে দাবি জানালেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। যদিও সেই দাবিকে কটাক্ষ করেছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাকত্ন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। তবে পাল্টা দিতে ছাড়লেন না শরদ পাওয়ারও। তিনি শুক্রবার বলেন, ‘‘বেশ কিছু বছর ধরে দেবেন্দ্র ফডণবীসকে চিনি। কিন্তু উনি যে জ্যোতিষশাস্ত্রের ছাত্র ছিলেন, তা জানা ছিল না আমার। সরকার তো গঠন হবেই এবং তা মেয়াদও সম্পূর্ণ করবে। এই জোট সরকার যাতে পাঁচ বছর পূর্ণ করে, তা নিশ্চিত করেই ছাড়ব আমরা।’’
মুখ্যমন্ত্রী পদে কাকে বসানো হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত শিবসেনার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে উদ্ধব পিছিয়ে এলে একনাথ শিন্ডেকে ওই পদে বসানো হতে পারে বলে জল্পনা সেনার অন্দরে। তবে জল্পনা যাই হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী পদটি যে তাঁদের দখলেই থাকবে, এ দিন তা স্পষ্ট করে দেন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতও। তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, শুধুমাত্র পাঁচ বছর নয়, আগামী ২৫ বছর রাজ্যে শিবসেনাই নেতৃত্ব দেবে।